আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইল এরইমধ্যে নিজ নাগরিকদের তুরস্ক ও আরব দেশগুলো ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে। এবার বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণের ব্যাপারে নিজ নাগরিকদের সতর্ক করেছে দেশটির সরকার। শনিবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কিত এক নির্দেশনা জারি করা হয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই অভিযানের পর নতুন করে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হয় যা গত ১৫ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে।
এতে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার। ইসরাইলের এই হামলার প্রতিবাদে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের দেশে দেশে বিক্ষোভ চলছে।
ইসরাইলের নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, ‘হামাসের বিরুদ্ধে গাজা যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা গেছে। ইসরাইলি ও ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে শত্রুতা-সহিংসতা প্রদর্শন করা হচ্ছে।’
‘তাই তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনসহ অন্যান্য আরব দেশ থেকে নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব সরে আসতে বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালদ্বীপসহ আশপাশের দেশগুলোয় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবারের ও বিবৃতিতে নাগরিকদের ‘যত দ্রুত সম্ভব’ মিশর ও জর্ডান ছাড়তে বলেছে ইসরাইল। একইসঙ্গে অন্যান্য আঞ্চলিক দেশে ভ্রমণ এড়াতেও আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরাইলের গণমাধ্যমগুলোর দাবি, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় শুরু হওয়া যুদ্ধের কারণে ইসরাইলি ভ্রমণকারীরা সশস্ত্র সংগঠনটির লক্ষ্যবস্তু হবে এমন আশঙ্কা করছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। যে কারণে মিশর (সিনাইসহ) ও জর্ডানে নাগরিকদের জন্য ৪ স্তরের (সর্বোচ্চ) ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে পরিষদ।
বিবৃতিতে এ সতর্কতা উল্লেখ করে দেশ দুটিতে ভ্রমণ না করার সুপারিশ ও সেখানে অবস্থানকারীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার জন্য আহ্বানও জানানো হয়েছে।
মিশর ও জর্ডানের পাশাপাশি মরক্কোর ব্যাপারেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আফ্রিকার দেশটির জন্য সতর্কতার মাত্রা লেভেল-৩ এ উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি মরক্কোয় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ।