শিক্ষা ডেস্ক:
পরীক্ষায় একজনের পরিবর্তে বসছে আরেকজন। ভর্তি করতে পারলেই মিলতো বড় অঙ্কের টাকা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় প্রক্সি চক্র। এ ঘটনায় ৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।
একজনের পরীক্ষা দিতো অন্যজন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এমন প্রক্সি জালিয়াতি।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে পপুলেশনস সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হন রংপুরের আহসান হাবীব। ভর্তি হওয়ার পর কৌশলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন তাকে অপহরণ করে শেরে বাংলা হলে আটকে রাখেন। পরে আহসানের বাবার কাছে মোবাইলে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন।
দীর্ঘ সময় ছেলেকে না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে অভিযোগ দেন তার মা। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় হল থেকে আহসানকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
পরে আহসানকে জিজ্ঞাসবাদে ফাঁস হয় চক্রটির পরিচয়। জানা যায়, ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ছাত্রলীগের প্রক্সি গ্রুপের এক সদস্য আহসানের হয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষায় পাশ হলে বৃহস্পতিবার ভর্তির আগে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার দিয়ে বাকি ৬০ হাজার টাকা পরে দেয়ার কথা জানায়। তবে দুপুরেই আরো ৩ লাখ টাকা আদায়ে আহসানকে অপহরণ করে চক্রটি।
পরে জালিয়াতিতে ভর্তি হওয়া আহসানকে পুলিশে সোপর্দ ও মামলা করে রেজিস্ট্রার। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, শেরেবাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমদে, ছাত্রলীগ কর্মী সাকোয়ান সিদ্দিক প্রাঙ্গণ ও সাকিবকে আসামি করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, সে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। এখন বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরে পুলিশ প্রক্সিতে ভর্তি হওয়া আহসান হাবীবকে গ্রেফতার দেখায়। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি পুলিশ।