হোম আন্তর্জাতিক ঋণের ভারে বেসামাল যুক্তরাজ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ঋণের ভারে দিন দিন নিমজ্জিত হচ্ছে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রভাবশালী দেশগুলোর তালিকার ৫ম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্য। ইউরোপের সঙ্গে বিচ্ছেদ ও করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই পরিস্থিতি অনেকটা বেসামাল দেশটির।

যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি পারিবারিক আয়ে আঘাত হানার পাশাপাশি বাড়িয়ে তুলছে সরকারি ঋণের সুদ। ঋণের সুদ বাবদ জুলাইয়ে ৫৮০ বিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করেছে যুক্তরাজ্য, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি।

জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের দেনা ছিল ২৮০ কোটি পাউন্ড। দেশটিতে সাধারণত জুলাই মাসে জনগণের দেয়া কর কোষাগারে জমা হতে শুরু করে। চলতি এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্রিটেন ধার করে সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ২১০ কোটি পাউন্ড কম হলেও, ২০১৯ সালের এপ্রিল-জুনের তুলনায় তিন হাজার ২৬০ কোটি পাউন্ড বেশি।

এদিকে যুক্তরাজ্যে ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ধর্মঘট শুরু করেছে দেশটির সবচেয়ে বড় কনটেইনার বন্দর ফিলিক্সস্টোর কর্মীরা। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রোববার (২১ আগস্ট) থেকে আট দিনের ধর্মঘটে নেমেছে ইউনাইট শ্রমিক ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার সদস্য।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ফেলিক্সটো ডক ও রেলওয়ে কোম্পানি পরিচালিত বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বেতন ৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু সেটি পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়ন। তারা বলছে, মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ কম।

তবে এ ধর্মঘটকে ‘হতাশাজনক’ আখ্যা দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র পল ডেভি। তিনি বলেন, ফিলিক্সস্টো বন্দরের কর্মীদের গড় বেতন ৪৩ হাজার পাউন্ড। তাদের বেতন আরও ৭ শতাংশ বাড়ানোসহ এককালীন ৫০০ পাউন্ড বরাদ্দের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে থাকা ঋষি সুনাক ও লিজ ট্রাস নির্বাচিত হলে প্রত্যেক পরিবারকে আরও বেশি আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন