হোম অন্যান্যসারাদেশ উন্নয়ন ভোগান্তির দূর্ভোগে খুলনা নগরবাসী

খুলনা অফিস :

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মূল সড়কগুলো আটকে রেখে চলছে উন্নয়ন কাজ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। নগরীর প্রাণকেন্দ্র বাণিজ্যিক এলাকায় প্রবেশ করতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুষ্ক মৌসুমের শেষ সময় এবং একসাথে প্রায় সব এলাকায় কাজ শুরু হওয়ায় দীর্ঘ যানজটের শিকার হচ্ছে নগরবাসী। সকাল এবং বিকেলে অফিস ফেরত মানুষ সমস্যায় পড়ছে বেশি। স্থানীয়দের দাবি, বর্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই কাজ শুরু করলে শীত থাকতে থাকতেই কাজ শেষ হতো।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানিয়েছে-নগরীর অভ্যন্তরের সড়ক, গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে সরকারি (জিওবি) ফান্ডে। এরমধ্যে ১হাজার ৪৩১ কোটি টাকার দুটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এ অর্থবছরে প্রকল্প দুটিতে ১৮০ কোটি টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে। পানিবদ্ধতা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৮২৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ৯টি প্রধান সড়কের পাশে ৬২ কিলোমিটার প্রাইমারি ড্রেন ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১২৮ কিলোমিটার সেকেন্ডারি ড্রেন সংস্কার করা হবে। অন্যদিকে, সড়ক মেরামত ও উন্নয়নে ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

মহানগরীর ৭৮ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং, ১৫১ কিলোমিটার সড়ক আরসিসি ঢালাই ও ৩৩ কিলোমিটার সড়ক সিসি ঢালাই দেয়া হবে। ২০টি গুরুত্বপূর্ণ মোড় উন্নয়ন, সৌন্দর্য্যবর্ধন ও কিছু যানবাহন কেনার প্রস্তাব রয়েছে প্রকল্পে। উন্নয়ন কাজের মধ্যে কোথাও চলছে রাস্তার উন্নয়ন কাজ, কোথাও রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি আর কোনো কোনো রাস্তায় ড্রেন প্রশস্তকরণ কাজ চলমান। এতে নগরীর প্রধান প্রধান অংশে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। নগরীর শামসুর রহমান রোড, হাজী মহসিন রোড, আহসান আহমেদ রোড, বাবু খান রোড, কেডিএ এভিনিউ, সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ড্রেন প্রশস্তকরণ ও সড়ক সংস্কারের কাজ চলমান। এসব কাজের ধীরগতিতে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের।

ড্রেন নির্মানের জন্য ছোট ছোট সড়কের একপাশ জুড়ে খুঁড়ে রাখার কারণে একপাশ দিয়ে চলাচল করতে পারছে না যানবাহনগুলো। নগরীর খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের প্রধান সড়ক বিআইডিসি রোড খুড়ে ফেলে প্রায় দেড় বছর যাবৎ খানাখন্দে রুপান্তর করে রেখে দেয়া হয়েছে।বর্ষা মৌসুমে সেখানে যে পরিমান কাঁদা জমে তাতে অনায়াসে ধান চাষ করা যায়। এরমধ্যে দিনের শুরু থেকেই নগরীতে চলাচল করছে বড় বড় ট্রাক ও পিকআপ। এতে আরও যানজট বাড়ছে। এ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। বর্ষা মৌসুমের আগে কাজ শেষ করতে না পারলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না মানুষের।

নগরীর আহসান আহমেদ রোডের ব্যবসায়ী রসুল আকন্দ বলেন, প্রায় দুই মাস এমন খোঁড়াখুঁড়ির মধ্য দিয়ে চলছে। প্রতিদিন কাজ হলে এতদিন কাজ শেষ হতো। ধুলো-বালিতে পুরো দোকান ঢেকে যায়। বিকেলের পর ছাড়া দোকান খোলা যায় না। কাজ শেষ না হলে ভোগান্তি কমবে না। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র মহানগর সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব জানান, ড্রেনগুলো মেরামত করা জরুরী ছিল। তবে কাজ শুরু হয়েছে দেরিতে। নগরীর অভ্যন্তরিন সড়কগুলো এখন প্রায় বন্ধ। মানুষকে অনেক ঘুরে তবেই বাণিজ্যিক এলাকায় যেতে হচ্ছে। ধুলাবালিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে কয়েকগুণ। তিনি দ্রæত এসব সড়ক মেরামতের দাবি জানান। কাজের প্রকল্প পরিচালক ও কেসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী এজাজ মোর্শেদ চৌধূরী জনদুর্ভোগ ও চলমান কাজে ধীরগতির বিষয়ে কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন, শীঘ্রই কাজ শেষ হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন