হোম আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার বিকল্প খুঁজছেন চীনের তরুণরা

উচ্চশিক্ষার বিকল্প খুঁজছেন চীনের তরুণরা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 16 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগামী বছরের জানুয়ারিতে চীনে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষা। তাতে আবেদনকারীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় নয় লাখ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮ লাখ ৮০ হাজারে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, টানা দ্বিতীয় বছরের মতো সংখ্যাটি হ্রাস পাচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকটি জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। চীনা সংবাদমাধ্যম সিএমজি এ খবর জানিয়েছে।

গত বছর এ পরীক্ষায় আবেদনকারী ছিলেন ৪৭ লাখ ৪০ হাজার। ভর্তির হার ছিল ২৪.২ শতাংশ। চীনের টোয়েন্টি ফাস্র্ট সেঞ্চুরি এডুকেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক সিয়ং বিংছি জানিয়েছেন, উচ্চতর অ্যাকাডেমিক ডিগ্রির কার্যকারিতা কমে যাওয়াই এই হ্রাসের প্রধান কারণ।

তিনি বলেন, ‘শুধু একটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আগের মতো কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। ডিগ্রির কার্যকারিতা কমে যাওয়া ও উচ্চ ডিগ্রিধারীদের কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বুঝতে বাধ্য হয়েছে, ডিগ্রি অর্জনের চেয়েও মূল দক্ষতা গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।’

চীনা শিক্ষা উন্নয়ন কৌশল সমিতির সদস্য চেন চিওয়েন বলেছেন, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনে দীর্ঘ সময় ও উচ্চ ব্যয় আরও বেশি নিরুৎসাহিত করছে শিক্ষার্থীদের। বিশেষত, পেশাগত স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে শিক্ষার মানের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা সম্পন্ন করতে দেরি হচ্ছে।

এ ছাড়া, পেশাগত প্রোগ্রামগুলোতে উচ্চ টিউশন ফিও আর্থিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে স্নাতকোত্তর ভর্তির দুই-তৃতীয়াংশ এই প্রোগ্রামগুলোই দখল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী বিকল্প কর্মজীবনের পথ বেছে নিচ্ছেন।

চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা রেকর্ড ৩৪ দশমিক দুলাখে পৌঁছেছে। প্রতি পদের জন্য গড়ে ৮৬ জন প্রতিযোগিতা করছেন।

এ ছাড়া, এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী স্নাতক দেরি করে শেষ করে নতুন সুযোগ অন্বেষণ করার কথা ভাবছেন। কেউ কেউ সরাসরি চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন, আবার কেউ উদ্যোক্তা বা স্বাধীন পেশা বেছে নিচ্ছে।

থোংচি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মূল্যায়ন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ফান সিউতি মনে করেন, স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষার আবেদনকারীর সংখ্যা আরও কমবে। তার মতে, এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। শিক্ষার্থীরা এখন স্পষ্ট একটি ক্যারিয়ারের লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। তারা অন্ধের মতো পড়াশোনা করছে না।

তিনি আরও বলেন, এই প্রবণতা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম সংস্কারেও প্রভাব রাখবে, যেন জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার সত্যিকার প্রয়োজনীয়তাটা উঠে আসে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন