নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় দীর্ঘ দশ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন জুনিয়র মৌলভী শিক্ষক সাইফুল আলম। তিনি সদর উপজেলার বুলারাটি গ্রামের আজিজুল বারির ছেলে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুিষ্ঠত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।দীর্ঘ সময় শিক্ষকতা করার পরও বেতন না পাওয়ার জন্য তিনি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে দায়ী করেছেন। অভিযোগ তুলেছেন, স্বজন প্রীতির। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোঃ আতাউর রহমান তার আপন-ভাইবোনকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট পদে সাধারণ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন। তারা এমপিওভুক্তির অধীনে বেতন পাচ্ছেন। অথচ শুন্যপদে চাকরিতে নিয়োগ পেয়েও দীর্ঘ দশ বছর বিনা বেতনে আছেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে সাইফুল আলম আরো বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের বুলারাটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ সালে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। ২০১৫ সালে মাদ্রাসার শুন্য পদে জুনিয়র মৌলভী পদে তিনি নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগের পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিনি বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সকল কাগজপত্রে তিনি ২য় নম্বার সিরিয়ালে রয়েছেন। কিন্তু মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মো: আতাউর রহমান তার আপন ভাই আরিফুর রহমান এবং বোন ফারজানা খাতুনের এমপিওভুক্তি করেছেন। তারা দুজন সাধারণ শিক্ষক(জেনারেল টিচার)। মাদ্রাসায় সাধারণ শিক্ষক(জেনারেল টিচার) এর পদ রয়েছে একটি। অথচ কৌশলে প্রধান শিক্ষক তার (সাইফুল আলম) নাম না পাঠিয়ে নিজের ভাই এবং বোনের নাম পাঠিয়ে এমপিওভুক্তি করিয়েছেন।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একজন প্রধান শিক্ষক, একজন জুনিয়র মৌলভি আলিম পাশ। একজন জুনিয়র শিক্ষক এইচএসসি পাশ। একজন ক্বারী শিক্ষক দাখিল মুজাব্বিদ পাশ হতে হবে। কিন্তু কিভাবে জুনিয়র মৌলভী পদে একজন সাধারণ শিক্ষককে এমপিওভুক্তি করানো হলো এমন প্রশ্ন তুলে ধরে সাইফুল আলম বলেন, প্রকৃতপক্ষে জালিয়াতি করে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে জুনিয়র মৌলভিকে বাদ দিয়ে দুজন জুনিয়র শিক্ষক (জেনারেল) নেওয়া হয়েছে।
এঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, ভুক্তভোগী সাইফুল আলম।
সাইফুল আলমের এমপিওভুক্তি না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মো: আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। একই মাদ্রসায় আপন ভাই-বোনের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করলেও তার ( প্রধান শিক্ষক) বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।