হোম ফিচার ইতিহাসখ্যাত সিনেমা ‘দেবদাস’

বিনোদন ডেস্ক :

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবদাস’। বাঙালির প্রেমের অমর আখ্যান এই উপন্যাসটি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ‘দেবদাস’ উপন্যাসটি লিখেছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শিল্পগুণ ও কাহিনি বিন্যাসে ‘দেবদাস’-এর চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ তার ‘শ্রীকান্ত’, ‘গৃহদাহ’, ‘শেষ প্রশ্ন’, ‘পল্লীসমাজ’-এর মতো উপন্যাস।

কিন্তু ‘দেবদাস’-এ ভালোবাসার যে করুণ, সরল ও আবেগী চিত্রায়ণ রয়েছে তার তুলনা অন্য কোনো লেখায় পাওয়া বিরল। তাই অনেকবার এ উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে সিনেমা। যুগে যুগে রুপালি পর্দায় দর্শক-হৃদয়কে জয় করেছে বাঙালির প্রেমের প্রতীক দেবদাস ও পার্বতী।

শরৎচন্দ্রের ‘দেবদাস’ অবলম্বনে প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র নির্মিত হয় কলকাতায় ১৯২৭ সালে। তারপর ১৯৩৫ সালে কলকাতায় আবার নির্মিত হয় সবাক ‘দেবদাস’। এই দেবদাস দুর্দান্ত বাণিজ্যিক সাফল্য পায়। এই ছবির বাণিজ্যিক সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৩৬ সালে হিন্দিতে ‘দেবদাস’ নির্মাণ করেন বড়ুয়া। তারপর আরও কয়েকবার কয়েক ভাষায় নির্মিত হয় ‘দেবদাস’।

বাংলাদেশেও নির্মিত হয় দেবদাস। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালনা করেন সিনেমাটি। ছবিতে নামভূমিকায় ছিলেন বুলবুল আহমেদ, পারু ছিলেন কবরী সারোয়ার এবং চন্দ্রমুখী ছিলেন আনোয়ারা।

তারপর ২০০২ সালে বলিউডে বেশ শোরগোল তুলে নির্মিত হয় ‘দেবদাস’। পরিচালক সঞ্জায় লীলা বানসালির জীবনের অন্যতম হিট সিনেমা হয় দেবদাস। সেই সিনেমায় দেবদাস চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ খান।

তারপর আবারও ২০০৯ সালে বলিউডে ‘দেবদাস’ নির্মিত হয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আবার দেবদাস নির্মিত হয়। এবারও পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। শরৎচন্দ্রের পর যুগ পাল্টে গেছে। কিন্তু দেবদাসের ভালোবাসা, অভিমান ও আবেগের আবেদন চিরকালীন। তাই যতবারই দেবদাস সিনেমা নির্মিত হোক না কেন, দর্শকমহলে সমানভাবেই সমাদৃত হবে এ সিনেমা।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন