হোম আন্তর্জাতিক ইউক্রেনের একাধিক শহরে রাশিয়ার বিমান হামলা, নিহত বেড়ে ২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ একাধিক শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে এখন পর্যন্ত শিশু ও নারীসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

ইউক্রেনে গত ১৪ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় লড়াই হচ্ছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে। এরই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়ায় পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইউক্রেনের সেনারা।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ হামলা চালায়।

রাশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছে, তাদের সেনাবাহিনী ইউক্রেইন রিজার্ভ সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

এ অভিযান চালানোর জন্য ইউক্রেনকে বহু অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছে পশ্চিমারা। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে ১ হাজার ৫৫০টি সামরিক যান ও ২৩০টি ট্যাংক দেয়া হয়েছে।

ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণের অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য সম্প্রতি বড় পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ঠিক সেই সময়েই এই জোরালো অভিযান চালানো হলো।
 
এদিকে বুধবার (২৬ এপ্রিল) চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটাই তাদের প্রথম ফোনালাপ।
 
জেলেনস্কি বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে অর্থপূর্ণ আলাপ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই ফোনালাপ ও চীনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ উভয় পক্ষের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে শক্ত ভূমিকা রাখবে।’
 
জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করে বলেন, তিনি চীনের প্রভাব কাজে লাগিয়ে সংকট মেটানোর চেষ্টা করবেন। বুধবার রাতে দৈনিক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেন, চীনের রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে আবার সব নীতির শক্তি পুনর্বহাল করার সুযোগ এসেছে, যেগুলোর ভিত্তিতে শান্তি আসা উচিত।
 
তিনি বলেন, বিশ্বের সংখ্যালঘু অংশের মতো ইউক্রেন ও চীনও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার শক্তিতে আগ্রহী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন