রাজনীতি ডেস্ক:
১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে সমঝোতা হবে, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রত্যাহার করবে না আওয়ামী লীগ। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। অন্যদিকে, শরিকদের মত, তেমনটি হলে মাঠে জোটের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দফায় দফায় বৈঠকের পর এখনও আসন সমঝোতা না হলেও আওয়ামী লীগ বলছে আজ-কালের মধ্যেই তা চূড়ান্ত হবে।
দেশের রাজনীতিতে দুই দশক ধরে সক্রিয় আদর্শিক জোট ১৪ দল। ২০০৮ সাল থেকেই আওয়ামী লীগ শরিক দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারও জোটগতভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ২৯৮টি আসনে মনোনয়ন চূড়ান্তের পর চিন্তার ভাঁজ পড়ে শরিকদের কপালে।
আসন সমঝোতা হবে কীভাবে, শরিকেরা কতটি আসন পাবেন, সেই দরকষাকষিতে এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে অন্তত হাফ ডজন বৈঠক করেছে শরিকরা।
সবশেষ রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতেও বৈঠকে বসে জোট শরিকেরা। বৈঠক শেষে শরিকদলের নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ তোলেন, সময়ক্ষেপণ করছে আওয়ামী লীগ।
জোট শরিকদের চাহিদা মূলত তিনটি। যার মধ্যে অন্যতম হলো ছাড় দেয়া আসনে নৌকার প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে উঠিয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি পরিষ্কার করা, আসন বণ্টন বিষয়ে পরিষ্কার করা এবং আসন বণ্টনের পর মাঠে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যারা রয়ে গেছে তাদের তুলে নিয়ে আসা এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও তুলে নিয়ে আসা। মূলত এ কয়েকটি বিষয়ে জোটের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, সাংবিধানিকভাবেই তাদের এ অধিকার আছে। এ অধিকারকে এবার আমরা দলীয় শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে চাই না। এটা আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য। এ বিষয়ে আমাদের দলের পক্ষ থেকেও বারবার বলা হয়েছে।’
তবে এমন প্রস্তাবে ভিন্নমত শরিক জোটের। তারা মনে করে, তেমনটা হলে জোট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শরিকেরা এরইমধ্যে আসন চাহিদা কাটছাঁট করেছে তবে অন্তত ১৫টি আসন চান তারা।
রাশেদ খান মেনন আরও বলেন. ‘যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে তারা আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী, এটা আওয়ামী লীগ স্বীকারও করেছে। তারা এ বিষয়ে কিছুটা সহনশীলতা দেখিয়ে তাদের পাশে রাখতে চাচ্ছেন। সুতরাং এটা ঠিক নয়, তারা নির্দেশ দিলে এসব প্রার্থী তুলতে পারবেন না। এমনটা হলে জোট ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
এরইমধ্যে মাঠ গোছানো শুরু করেছেন স্বতন্ত্র ও নৌকার প্রার্থীরা। তাই যত দ্রুত সম্ভব আসন ভাগাভাগির দাবি করছেন জোটের শরীক নেতারা।