হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনিতে হালখাতা ও কিস্তি আদায়ের হিড়িক,দিশেহারা সাধারণ মানুষ দেখার কেউ নেই

আশাশুনিতে হালখাতা ও কিস্তি আদায়ের হিড়িক,দিশেহারা সাধারণ মানুষ দেখার কেউ নেই

কর্তৃক
০ মন্তব্য 99 ভিউজ

আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনিতে মহামারী করোনা ভাইরাসের আবির্ভাবের মধ্যে মানুষ যখন অসহায় অবস্থায় দিন পার করছেন ঠিক তখনই এনজিওগুলো ঋণের কিস্তি আদায় ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হালখাতার আয়োজন করায় আর্থিক সঙ্কটে থাকা সাধারণ ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সীমিত পরিসরে কর্মসংস্থান চলতে না চলতেই এনজিও’র কর্মীরা বাড়ীতে গিয়ে কিস্তি আদায় করছেন। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন কর্মহীন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। জানাগেছে, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এনজিও গুলো কিস্তি আদায় কার্যক্রম শুরু করেছে।

একই সাথে ব্যবসায়ীরা শুরু করেছে হালখাতার প্রতিযোগিতা। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য চলছে মাইকিং। জুনের মধ্যেই বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিদ্যুৎ বিল দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এবিষয়ে একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে এই মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের কোন ব্যবসা-বাণিজ্য নাই কিন্তু প্রতিনিয়ত হালখাতা এবং কিস্তির জন্য চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। করোনা মহামারী শুরুর পর এমনিতেই উপার্জন কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

তার উপর এনজিও’র কিস্তি তাদের কাছে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। অনেকের অভিযোগ, কখনও মোবাইল ফোনে, কখনও বাড়িতে গিয়ে সুদের হার বৃদ্ধি পাবে মর্মে ভয় দেখিয়ে ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন এনজিওগুলোর মাঠ-কর্মীরা। ফলে নিরুপায় হয়েই ধার দেনা করে অতিকষ্টে এনজিও’র কিস্তি দিতে হচ্ছে ঋণ গ্রহীতাদের। ইজিবাইক চালক, ভ্যান চালক, ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালকরা ঠিকমত যাত্রী পাচ্ছেন না।

ছোট খাট দোকানীদের বিক্রয় সীমিত ভাবে চলছে। অনেকে দিন মজুরদের ঠিক মত কাজ হচ্ছে না। কিন্তু এ-অঞ্চলে করোনা আতংকিত হয়ে মানুষের পিছু ছাড়ছে না বিভিন্ন এনজিও’র কর্মীরা। কর্মীদের নেই কোন করোনা প্রতিরোধক সরঞ্জাম। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মীরা বাড়িতে যেয়ে কিস্তি আদায় করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, করোনার কারণে কাজ কাম নাই বললেই হয়। তারপরও এখন কিস্তির চাপ আবার চলছে হালখাতা। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তারপরও এসব চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে আমরা যেখান থেকে মাল নিয়ে আসি আমাদের মহাজন আমাদের চাপ দিচ্ছে টাকার জন্য। তারা আরও বলেন, আমাদের অনেক টাকা বাকি আছে, আমরা যদি হালখাতা না দিই তাহলে টাকা উঠাতে গেলে আমাদের খুব কষ্ট হবে এজন্য আমাদের হালখাতা দিতে হচ্ছে। তবে দেনাদারদের দাবী, বর্তমানে আমাদের ইনকাম কম, তাহলে আমরা কেমন করে হালকাতা করবো ও কিস্তি দিবো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন