আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনিতে গত এক বছর পূর্বে ঘূর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে আশাশুনি সদর, শ্রীউলা প্রতাপনগর, আনুলিয়া. শোভনালী, বুধহাটা ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা মুহুর্তের মধ্যে লন্ডভন্ড করে দেয়। আম্পানের আঘাতে ওয়াপদার বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে আশাশুনি সদর, শ্রীউলা প্রতাপনগর, আনুলিয়া ইউনিয়ন ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়।
এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আগাম “ঘূর্ণিঝড় যশ” এর ভয়ে উপকুলবর্তী হাজার হাজার মানুষ। সম্প্রতি এ সকল ইউনিয়নে বাঁধ নির্মানের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ক্ষতি গ্রস্থ সব মানুষ এখনো তাদের ভিটায় যেতে পারিনি। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বার বার সাতক্ষীরা জেলার সব কটি উপজেলা আগামী ২৬মে “ঘূর্ণিঝড় যশ” আঘাতও আনতে পারে বলে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। ফলে আশাশুনি উপজেলার উপকূলবর্তী হাজার হাজার মানুষ উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে বলে জানাগেছে।
তবে এরই মধ্যে স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যান আবুহেনা সাকিল , ইঞ্জিনিয়র আবম মোছাদ্দেক, শেখ জাকির হোসেন, আলমগীর আলম লিটন ও স,ম সেলিম রেজা মিলন,প্রভাষক ম.মোনায়েম হোসেন বলেন আমরা এমন একটি উপজেলায় বসবাস করছি যার তিন ধারে নদী বেষ্টনি এলাকা। সামান্য ঝড়, বৃষ্টি আর জ¦লোচ্ছাস দেখা দিলে একল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। গত এক বছর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই “ঘূর্ণিঝড় যশ” এর আভাস লক্ষ্য করা গেছে।
আগামীকাল অথ্যাৎ ২৩মে স্ব স্ব ইউনিয়নে উপকুলবর্তি মানুষের জানমাল রক্ষার্থে সিপিপি টিমের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তারা আরও বলেন যে সকল ঝুকিপূর্ন বেড়িবাঁধের কাজ করতে হবে আমরা ইতিমধ্যে পাউবো’র কর্মকর্তাদের অবগত করেছি। এবার বাঁধ ভাংলে জনগনকে সাথে নিয়ে কঠিন কর্মসূচি দেবেন বলে হুসিয়ার করে দিয়েছেন।
সরেজমীনে গেলে বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য ব্যক্তিরা জানান গত এক বছর ধরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ঘরবাড়ি সহায় সম্বল ব্যবসা বানিজ্য কমৃ সংস্থান হারীয়ে পথে বসেছি। সব মানুষ এখনো পর্যন্ত তাদের নিজ ভিটায় ফিরে যেতে পারিনি। কোন রকমে মাতা গোজার ঠাঁই হয়েছে। ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ি বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এরমধ্যে আবার “ঘূর্ণিঝড় যশ” উপজেলার ঝুকিপূর্ন দয়ারঘাট, পুইজালা, হাজরাখালী, কোলা, কলিমাখালী, বিছট ,রুইয়ারবিল , শ্রীপুর, চাকলাতেলিখালী এ সকল স্থানে ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনলে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে পূর্বের ন্যায় বিস্তর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন গতকাল দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে এরই মধ্যে ঘূর্নিঝড় মোকাবেলা করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয় সিপিপি কমিটি গঠন ও স্ব স্ব ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশকে দিয়ে মাইকিং করে উপকূলীয়বর্তী মানুষের সতর্ক করে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ঘূনিঝড় মোকাবেলায় ইতোমধ্যে উপজেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র।