খেলাধুলা ডেস্ক :
মরুর সূর্য নিষ্ঠুর। বিশ্ব মঞ্চে ঘেমে নেয়ে অস্থির ব্যাটার-বোলাররা।
মাস্কাটের তীব্র গরমে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে রান তুলতেই হাঁপিয়ে ওঠেন সাকিব আল হাসান।
আগেই বলেছেন, ব্যাটিংটা তিনি কষ্ট করে করেন। কিন্তু বোলিংটা সহজাত। ২২ গজে সে কথার প্রমাণ বারবার দিয়ে চলেন সাকিব। ঢাকায় সবশেষ
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে যে মাইলফলকটা ছোঁয়া হয়নি, সেটা তিনি পেরিয়ে গেছেন ওমানে।
লাসিথ মালিঙ্গার ১০৭ উইকেট টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বনে গেছেন বিশ্বকাপের ময়দানে নেমেই।
তবে, তাতেও ক্ষান্ত দেননি। লাল সবুজ জার্সিতে অধিকাংশ রেকর্ডই নিজের নামে করে নেওয়ার লক্ষ্য তার। বোলার সাকিব এবার আরও এক রেকর্ডের চূড়ায়।
তার স্পিন বিষে নীল পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটাররা। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন সাকিব। আর তাতেই শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৩৯ উইকেটের মালিক বনে যান। তবে, একটু এগিয়ে সাকিব। ৩৯ উইকেট পেতে আফ্রিদির লেগেছে ৩৪ ম্যাচ। সাকিব ২৮ ম্যাচেই তা ছুঁয়ে ফেলেছেন।
এমন অনবদ্য পারফরম্যান্সের পর ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন সাকিব। ওয়ানডের এক নম্বর অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি প্রত্যেক ম্যাচে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেই খেলুক না কেন, সবারই জয়ের সুযোগ থাকে। তবে যদি প্রেসার না থাকে তবে বেশি স্বাধীনতা নিয়ে খেলা যায়, ভালো করার সুযোগ বেশি থাকে।’
সাকিব যোগ করেন, ‘এখানে (বিশ্বকাপে) ফর্মে থাকা এত সোজা না। তবে আমি অনেক সুযোগ পাচ্ছি। টপ অর্ডারে ব্যাট করতে পারছি। আমিও দীর্ঘ দিন ধরে ক্রিকেট খেলছি, মাঝে কোনো বিরতি নেই। আশা করি এই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে পারব।’
পিএনজির বিপক্ষে সাকিব বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে চার্লজ অমিনির হাতে ধরা পড়েন। ৩৭ বলে ৩ ছয়ে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৩টি ছয়ের বদৌলতে সাকিব এক অনন্য মাইলফলকেও নাম লেখান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে সাকিবের ছক্কার সংখ্যা এখন ১০০। এর মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে ৩৮টি, ওয়ানডেতে ৪৩ ও টেস্টে ১৯ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
ব্যাট হাতে এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর সাকিব বল হাতে একে একে চারজন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান। বল হাতে নিয়েই তিনি শিকারে পরিণত করেন চার্লজ অমিনিকে। অমিনি সীমানার কাছে নাঈম শেখের হাতে ধরা পড়েন। একই ওভারে সাকিব নেন সিমন আতাইয়ের উইকেটও। শূন্য রানেই ফিরে যান আতাই। সেসে বাউকেও নাঈমের ক্যাচ বানান সাকিব।