কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহে লাইসেন্স ও ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটায় অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।পৃথক অভিযানে তিনটি উপজেলায় ৩৩ লক্ষটাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।জেলার কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার ২১টি ইটভাটায় এ অভিযান পরিচালনা করেছেন যশোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
গত রবিবার সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় এ অভিযান শুরু করে।যশোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সদর দপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিমের ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সাঈদা পারভীন এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করেন।এ সময় সহকারী পরিচালক মো: হারুন অর রশীদসহ অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ৮ টি ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকা সহ নানা অভিযোগে জরিমানা ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ৩টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ ও ৫টি ইটভাটার মালিককে ১২লাখ ৩৪ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন।
গত সোমবার কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার পিরোজপুর এলাকায় পুনরায় অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।এ সময় ৩ টি ইটভাটায় জরিমানা ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।বি এম ডাব্লিউ ব্রিকব বাদেডিহি ৩ লক্ষ টাকা।জেকে ব্রিকস জয়নাল আলীর ভাটায় -২লক্ষ টাকা।এ এম বি এম ব্রিকস ৩লক্ষ টাকা ।
কোটচাঁদপুর উপজেলায় একই দিনে রিকো ব্রিকস ২লক্ষ টাকা।এমবিসিও ব্রিকসসে কিলন ভেঙে দেয়।সিরাজ ব্রিকস ১ লক্ষ টাকা।রিপন ব্রিকসে ১লক্ষ টাকা।রুমন ব্রিকস সাবদালপুর ২লক্ষ টাকা।অনিল ব্রিকস গান্না বাজার ১ লক্ষ টাকা জরিমানা। পাল ব্রিকস রামনগর ১লক্ষ টাকা।
যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহ সহকারী পরিচালক মো: হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা অভিযান শুরু করেছি এবং যশোর জেলা কার্যলয়ের অধীনে ঝিনাইদহ,মাগুরা,নড়াইল ও যশোর জেলায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। চিমনি বসিয়ে মণকে মণ কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাই এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো দরকার।
এদিকে ভাটা মৌসুমের শুরুতে এ ধরনের অভিযান নিয়ে নানা রকম গুঞ্জন শুরু হয়েছে।একটি মহল উপর মহলকে ম্যানেজ করতে দাবীকৃত টাকা না দেওয়াই এমন অভিযান।পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভাটা মালিকদের কোন রকম অবগত না করে ভাটা ভাংচুর আর আতংকিত করা হীন উদ্দেশ্য বলে মনে করছে ভাটা মালিকদের সংগঠন।