অনলাইন ডেস্ক:
অনেকেই ঘুম থেকে ওঠার পরে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকেন যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
আদর্শ নাস্তা বলতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও চর্বি সমৃদ্ধ খাবারকে বোঝায়। তবে এই আদর্শ খাবার খাওয়ার আদর্শ সময় সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নন।
সকালের খাবার শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। আদর্শ ও পুষ্টিকর সকালের নাস্তা বিপাক বৃদ্ধি করে এবং সারাদিন শক্তি সরবারহে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সকালের নাস্তার আদর্শ সময় সম্পর্কে জানানো হল।
সকালে ঘুম থেকে উঠে যত তাড়াতাড়ি নাস্তা করা যায় তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ততটাই উপকারী।
ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘন্টার মধ্যে নাস্তা করা উচিত। এতে শরীরে বিপাকও বাড়ে।
সকালে শরীরচর্চা করার অভ্যাস থাকলে হালকা কিছু খাবার যেমন- কলা বা অন্য কোনো ফল খেয়ে আধ ঘন্টা অপেক্ষা করে শরীরচর্চা করা উচিত।
তবে ব্যক্তিগতভাবে যদি খালি পেটে শরীরচর্চা করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাহলে শরীরচর্চা শেষ করে নাস্তা করে নিন।
ওজন কমাতে সঠিক সময়ে খাবার খান
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির করা এক গবেষোণা থেকে জানা যায়, সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া না হলে ওজন নিয়ন্ত্রণ বেশ কষ্টকর হয়ে যায়।
উপবাস করে ওজন কমাতে চাইলেও খেয়াল রাখতে হবে যেন রাতের খাবার ও সকালের নাস্তার মাঝে পার্থক্য ১২ থেকে ১৪ ঘন্টার বেশি না হয়।
এর বেশি সময় ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব রাখে। অনেকেই ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে ওজন কমাতে সফল হয়েছেন। তবে এটা নিজে করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিত; তা আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা।
গবেষণায় দেখা গেছে রাত ও সকালের খাবারের মাঝে ১২ ঘন্টার পার্থক্য খাবার হজমের জন্য যথার্থ। তাছাড়া এই ‘সময় বিরতি’ ভালো ঘুমেও সহায়াত করে। শরীরের মৌলিক ছন্দ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
খাবারের সঠিক সময়
সকালের নাস্তা: সকাল ৬ থেকে ১০টা।
মাঝ সকালের নাস্তা: নাস্তা করার ২ থেকে ৪ ঘন্টা পরে।
দুপুরের খাবার: বেলা তিনটার আগে।
বিকালের নাস্তা: দুপুরের খাবারের ২ থেকে ৪ ঘন্টা পরে।
রাতের খাবার: বিকাল ৫টা থেকে রাট ৮টার মধ্যে।
সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া ওজন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, চর্বি ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং সারাদিন শরীর সচল রাখতে সহায়তা করে।