জামাল উদ্দীন :
সাতক্ষীরায় হাজার বছরের বাদাকাটা বসতি সমুদ্র উপকূলীয় জেলার মানুষের জীবন সংগ্রাম এক চ্যালেঞ্জ।জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ এ প্রবাদ যেন এখন ধোঁয়াশা!!বেড়িবাঁধ রক্ষায় মরণ সংগ্রাম চোখে না দেখলে অনুধাবন সম্ভব নয়।সেই ৮৮ সালের ভয়নাক ঘূর্ণিঝড় আইলা,সিডর,নার্গিস, ফনি মোকাবেলা করে বেঁচে থাকলেও সম্প্রতি লন্ডভন্ড করা আম্পানের ক্ষত সকলের চোখে মুখে স্পষ্ট। অনুসন্ধানে জানা গেছে,১৯৬০ সালের দিকে সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়।তারপর থেকে এ বেড়িবাঁধ সংস্কারে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় হলেও উপকূল বাসীর ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। উপকূলীয় মানুষ বার বার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কারের জন্য জানালেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। সেই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ২ উপজেলার ৫০ গ্রামের মানুষ প্লাবিত। সেনাবাহিনী, পাউবো বাঁধ নির্মাণে ব্যর্থ। সংগ্রামী মানুষগুলো ১৮ দিনে ৩১ টি পয়েন্টে এর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ কোনরকম ৩০ টি মেরামত করে ভুক্তভোগীরা বসবাস করতে শুরু করছে।এখনও প্রতাপনগর, শ্রীউলা, ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ লোনাপানির সাথে যুদ্ধ করছে।আম্পানের ১৯ দিন পর এলাকাবাসী জানিয়েছেন এখন বর্ষা মৌসুম নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।শুখনো মৌসুমে ছাড়া সংস্কার করা সম্ভব না।