হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনার রূপসায় চার বছর ধরে ১৪ জনের চাল আত্মসাতের দায়ে আওয়ামীলীগ নেতার ওএমএস ডিলারশীপ বাতিল

খুলনার রূপসায় চার বছর ধরে ১৪ জনের চাল আত্মসাতের দায়ে আওয়ামীলীগ নেতার ওএমএস ডিলারশীপ বাতিল

কর্তৃক
০ মন্তব্য 92 ভিউজ

খুলনা অফিস :
খুলনার রূপসায় চার বছর ধরে ১৪ জনের চাল আত্মসাতের দায়ে খুলনার রূপসা শ্রীফলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওএমএস ডিলার সরদার মিজানুর রহমানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সোমবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ওএমএস ডিলার সরদার মিজানুর রহমানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রূপসা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রূপসা উপজেলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকার প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১০ টাকা মূল্যে বিতরণ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারশীপ নেয় সরদার মিজানুর রহমান।সে এলাকার একজন প্রভাবশালী এবং উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সহজে এ ডিলারশীপ পেয়ে যান। সরকার প্রতি বছর দেশের নিন্মআয়ের মানুষের জন্য খাদবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ভূর্তকি মূল্যে মাত্র ১০টাকা কেজি দরে চাল সহায়তা দিয়ে থাকে। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে ডিলার সরদার মিজানুর রহমান এলাকার ১৪টি পরিবারে চাল তাদেরকে না দিয়ে নিয়মিত আত্মসাৎ করে আসছেন। সরকারের বরাদ্ধের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাল না পাওয়া ওই ১৪ ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের শাহিদ শেখ, সেলিম শেখ, আনিচুর রহমান, সাইদুর রহমান, খালেদা বেগম, জাহিদ মুন্সি, মুকুল শেখ, কামাল শেখ, রফিকুল শেখ, মমতাজ, নাসিম হাওলাদার, ওলিয়র হাসান, আসলাম খাঁ ও ফারুক হাওলাদার। তালিকাভুক্ত এসব পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নাম তালিকাভুক্তি ও বরাদ্ধের কথাও জানেন না।
বঞ্চিত এসব পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৬ সালে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রান ও সহায়তা দেয়ার কথা বলে স্থানীয়ভাবে চেয়ারমান-মেম্বররা তাদের নাম, ছবি ও ন্যাশনাল আইডিকার্ড নিয়েছিল। কিন্তু তাদের নামে কার্ড হয়েছে কিনা তা গত চার বছরেও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। কখনো খোজ-খবরও নেননি। ‍সে কারনে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তারা কখনো ১০ টাকা মূল্যের এই চাল উত্তোলন করেননি। কে কিভাবে চাল উত্তোলন করেছে তারা সে বিষয়েও কিছু বলতে পারবেন না।
সম্প্রতি এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে পারেন রূপসা উপজেলা প্রশাসন। পরে
রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর ২২মে বুধবার তিনিসহ থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন এবং কয়েকজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি টিম শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি তদন্ত করতে যায়।সেখানে ডিলার সরদার মিজানুর রহমান ও ভুক্তভোগী ১৪টি পরিবারের সদস্যেদের সাথে পৃথকভাবে কথা বলে চাল আত্নসাত্ব করার সত্যতা পান কর্মকর্তারা। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের ওএমএস ডিলার মিজানুর রহমানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।এছাড়া চার বছর ধরে ১৪ জনের চাল আত্মসাতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আগামী তিন দিনের মধ্যে শ্রীফলতলা ইউনিয়নে নতুন ডিলার নিয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩মে এই ওএমএস ডিলারের অনিয়ম-দূর্নীতি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন