আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউক্রেনের খারকিভে রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি কিয়েভের। যদিও বেসামরিক নাগরিক হতাহতের বিষয়টি অস্বীকার করেছে মস্কো। এদিকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে নতুন করে হামলা জোরদার করেছে রুশ সেনারা। শনিবার (১৩ আগস্ট) অঞ্চলটির বেশ কয়েকটি এলাকা নিজেদের দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে অঞ্চলটিতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ‘হিমার্স’ ধ্বংসের দাবি করা হয়। এছাড়াও ভূপাতিত করা হয়েছে ইউক্রেনের দুটি হেলিকপ্টার।
এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবিক অপরাধের অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, রুশ অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে সাধারণ ইউক্রেনয়ীরা নানাবিধ রোগে ভুগলেও, পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় ওষুধ। কিয়েভের পক্ষ থেকে ওষুধ পাঠানো হলেও সেগুলোর চালান আটকে দিচ্ছে রুশ সেনারা।
অন্যদিকে শীত মৌসুম সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইউক্রেনবাসী। সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন জ্বালানি ও রুম হিটার। তবে যুদ্ধের কারণে গ্যাস সংকট দেখা দেয়ায় চলতি শীত মৌসুম বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ভোগাবে বলে মনে করছেন তারা।
ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্র ও রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে পাল্টাপাল্টি হামলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনার পারদ ছড়াচ্ছে মস্কো ও কিয়েভ। শুক্রবার (১২ আগস্ট) পূর্ব ইউক্রেনের একাধিক সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে দফায় দফায় হামলা চালায় রুশ বাহিনী। হামলা চালানো হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভেও। এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া রাডার সিস্টেম ও বেশ কয়েকটি হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।