হোম অন্যান্যসারাদেশ নড়াইলের লোহাগড়ায় সাতরা খালে পাটপচাতে বাধা দেওয়ায় বিপাকে ৫ গ্রামের কৃষক

নড়াইল অফিস :

নড়াইলের লোহাগড়ায় সাতরা খালে পাট পচাতে বাধা দেওয়ায় বিপাকে ৫ গ্রামের কৃষক। মাঠে শুকাচ্ছে কাটাপাট। পচানোর পানির সংকটে মাঠের পর মাঠ পড়ে আছে পাট চাষীরা বাচা মরার শংকা নিয়ে। এ বছর অনাবৃষ্টির কারনে কৃষকে সেচ নির্ভর হতে হয়েছে সারা মৌসুমে আর এখন মৌসুম শেষে জমিতে নষ্টহচ্ছে সোনালী আশের সাথে ঝুকিতে দুলছে কৃষকের জীবন। পানির অভাবে রোপন করতে পারছেনা ধান । চারা ধান নষ্ট হচ্ছে কৃষকের জমিতেই।

লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের সাতরা খালে পাট পচানোর অলিখিত বাধায় মুখে ৫টি মৌজার প্রায় সাড়ে তিনহাজার হেক্টর জমির পাট চাষীরা। মাটের পর মাট পানির অভাবে জমিতে পড়ে আছে পাট আর পাট । গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে একটি মাত্র খাল । এতকাল এই খালেই তারা পাটপচানো ও জমিতে সেজদিয়ে ধানসহ অন্যান্য ফসল ফলাতো কিন্তু এবাইে পড়েছে চমর বিপাকে। পাট পচানোর মত কোথাও বৃষ্টির জমা পানি নেই। এলাকাবাসি জানেওনা এই কাজের সাথে কেবা কারা জড়িত। খালের মাঝখান দিয়ে বাশের বেড়া দিয়ে কয়েকটি ভেকুদিয়ে লাখিয়ে খালের মাটি তুলে উঁচু করে দিচ্ছে পাড় । খালের পানি ব্যবহার করতে না দেওয়ায় হতাশ চাষীরা নিজশ্রমে ঘামে উৎপাদিক ফসলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বর্ষা মৌসুম শেষ হতে চললেও বৃষ্টি না হওয়ায় ডোবায় ও উন্মক্ত জলাশয়ে যে পানির উপর ভরসা ছিল এতে তাবাধাগ্রস্থ হওয়ায় বিশ্মিত তারা । তাদের বক্তব্য সুদুর অতিত থেকেই তারা এই জলাশয়ে পাট পচানো মাছ শিকারসহ সেচ কাজে ব্যাবহার করে আসছে,এটা তাদের অধিকার।

কৃষকরা ক্ষোভ অভিমানে বলেন,পানি না দিলে আমরা কিকরে ধান রোপন করবো, কিকরে বেচে থাকবো, আমাদের কি চাকরি আছে। আমরা এলাকার বেশীর ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ার কারণে বেশীর ভাগ কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের পাট পচানোর একমাত্র অবলম্বন ছিল এই খালটি। পানি ব্যবহার করতে না দিলে কৃষিকাজ ছেড়ে দিতে হবে। পরিবার পরিজন দিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।

গতকাল ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে কৃষকরা মাঠ থেকে পাটের বোঝা মাথায় নিয়ে অবস্থান নেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্য্যালয়ের সামনে। উপজলা কর্মকর্তা কৃষকদের দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং আশ^াস দেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার। এই কর্মকর্তার আশ্বাসে কৃষকেরা তাদের অবস্থান কর্মসূচী তুলে নেন।

এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী জানান, বিষয়টি আমার আগে জানা ছিলনা কোন বিভাগ থেকে খাল বন্ধ করা হয়েছে আমাকে জানানো হয়নি। তবুও কৃষকের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরেজমিন দেখে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে আশু ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।

নির্বাহী কর্মকর্তাগন দ্রুত সৃষ্ট এই সমস্যার সমাধান করে তাদের সোনালী ফসল গোলায় তুলার ব্যাবস্থা করবেন এই গ্রত্যাশা এলাকার কৃষকের।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন