স্বাস্থ্য ডেস্ক :
চট্টগ্রামের সীতকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪ জনকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। তাদের চিকিৎসায় গঠিত হয়েছে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
আগুনের ঘটনার তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এদিকে টেস্ট করার জন্য টাকা দেয়া লাগছে। এছাড়াও ব্যান্ডেজ কেনারও টাকা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হাসপাতালে আসা স্বজনরা।
স্বজনদের সুস্থতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সামনে প্রিয় মুখটি সুস্থভাবে আবার ফিরে পাওয়া অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার- পরিজন।
সীতাকুণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসার সব ব্যয় সরকারিভাবে বহনের ঘোষণা দিলেও কিছু পরীক্ষা বাইরে থেকে টাকা দিয়ে করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছন স্বজনরা।
এক অভিভাবক জানান, টেস্ট করার জন্য টাকা দেয়া লাগছে। এছাড়াও ব্যান্ডেজ কেনারও টাকা দিতে হচ্ছে।
দগ্ধ ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জনেরই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফায়ার ফাইটার ২ জনসহ আইসিইউতে রাখা হয়েছে শঙ্কটাপন্ন ৪ জনকে। তাদের চিকিৎসায় করা হয়েছে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বলে জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম।
তিনি বলেন, যারা আইসিইউতে আছেন তার মধ্যে চারজনের অবস্থা খুবই খারাপ।
এদিকে সোমবার (০৬ জুন) দুপুরে দগ্ধদের খোঁজখবর নিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক। এসময় হতাহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের (দগ্ধ) যা সেবা লাগবে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সবার প্রয়োজনীয় সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দিতে সকালে বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে চট্টগ্রামে গেছেন ৩ সদস্যের মেডিকেল টিম।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা এক এক করে বেড়েই চলেছে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নয় জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক।