হোম অর্থ ও বাণিজ্য মানিকগঞ্জের মরিচ যাচ্ছে বিদেশে

বাণিজ্য ডেস্ক :

মানিকগঞ্জে মরিচের বাম্পার ফলন ও বিদেশে রফতানি হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। তাই মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতারে মরিচের চাহিদা ধরে রাখার দাবি তাদের। এদিকে মরিচের বাজার ধরে রাখতে কাজ করার দাবি করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

ভোর থেকেই মানিকগঞ্জের জমি থেকে মরিচ সংগ্রহে ব্যস্ত কিষাণ-কিষাণীরা। কয়েক বছরের তুলনায় কৃষক মরিচে কয়েককগুণ দাম পাচ্ছেন। স্থানীয় আড়তে পাইকারি মরিচ প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এবিষয়ে কৃষকরা বলেন, মরিচের ফলন ভালো। পাশাপাশি লাভও ভালো হচ্ছে। আমরা ৭০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করছি। দাম এমন থাকলে, আমরা বাঁচব।

মরিচের দাম আর বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কিষাণীদেরও। পরিবারের পুরুষদের পাশাপাশি জমিতে ব্যস্ত নারী ও স্কুলে পড়া শিশুরাও। ঘরের কাজের পাশাপাশি জমিতে কাজ করার কথা জানান নারীরা।

এদিকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বরংগাইল মরিচের সবচেয়ে বড় আড়ত। সকাল থেকেই আড়তটি মরিচ কেনাবেচায় জমজমাট থাকে। এখান থেকেই মোড়কজাত হয়ে এজেন্টদের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে মরিচ পাঠানো হয়। কাতার, ওমান ও মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে রফতানি হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। তারা বলেন, রাশিয়া, দুবাই, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের মরিচ রফতানি করা হয়।

স্থানীয় কৃষি বিভাগের দাবি, মরিচের বাজার ঠিক রাখতে বাজার ব্যবস্থা কৃষিদের দারে পৌঁছে দেয়াসহ বিদেশে রফতানি বৃদ্ধিতে কাজ করছে তারা।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান বলেন, তারা যাতে রফতানিকারকদের কাছে সরাসরি মরিচ বিক্রি করতে পারে এবং রফতানিকারক যাতে বাইরে রফতানি করতে পারে, আমরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, মানিকগঞ্জ জেলার ৪ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন বরংগাইল আড়তে ৬ থেকে ৭ হাজার মণ মরিচ কেনাবেচা হয়।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন