বাণিজ্য ডেস্ক :
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘আমাদের নয়, বরং ইউরোপের আমাদের প্রয়োজন। তবে আমরা আমাদের তেল-গ্যাস রফতানি পশ্চিম থেকে পূর্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) পুতিন বলেছেন, ‘যেহেতু পশ্চিমারা আমাদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায়, আমরাও আমাদের ব্যবসার দিক পরিবর্তন করতে চাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে আমদানি করা গ্যাস ইউরোপের ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা পূরণ করে থাকে। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষার্ধে ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানকে’ কেন্দ্র করে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক চূড়ান্ত মাত্রায় তেতো হতে শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তেল-গ্যাস নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে একধরনের সংকট দেখা দিয়েছে।
পশ্চিমারা যখন গ্যাস আমদানির জন্য বিকল্প পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে, তখন ক্রেমলিন চীনের সঙ্গে নতুন ব্যবসায়িক সম্পর্কে জড়িয়েছে। বলা যায়, রাশিয়ার সবথেকে ভালো ক্রেতাবন্ধু এখন এশিয়ার শক্তিমান দেশ চীন।
রুশ সরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, ‘ইউরোপের কাছে রাশিয়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য ইউরোপ পুরোপুরি রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়া থেকে ইউরোপ গ্যাস নেওয়া বন্ধ করে দিলে তাদের জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম হবে আকাশচুম্বী।’
সম্প্রতি পুতিন রুশ কর্মকর্তাদের চলতি বছরের জুনের ১ তারিখের মধ্যে নতুন পরিকল্পনার খসড়া জমা দিতে বলেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই পরিকল্পনায় রাশিয়া তাদের ব্যবসা ইউরোপ থেকে সরিয়ে আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায় বিস্তৃত করতে চাচ্ছে।
ইতোমধ্যে চীনের সঙ্গে গ্যাসের নতুন পাইপলাইন নিয়ে কাজ করছে রাশিয়া। এর মধ্যে চীন থেকে সাইবেরিয়া ও সাখলিন-খাবারবস্ক-ভ্লাদিভস্টক পাইপলাইন দুটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
এ ছাড়াও ডলার নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে দেশীয় মুদ্রায় ব্যবসার দিকে জোর দিচ্ছে পুতিন। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ডলার নয়, রুবলে গ্যাস কিনতে হবে–এমন একটি ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও ইউরোপ বলেছে পুতিনের এই ঘোষণা চুক্তিভঙ্গের শামিল।
সূত্র: রয়টার্স