জাতীয় ডেস্ক :
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ২০২২ সালের জন্য ৮৮১ মিলিয়ন ডলারের টার্গেট করা হয়েছে। এর মধ্য আলাদা করে ১০০ মিলিয়ন ডলার ভাসানচরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
এ সময় তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চুক্তি নবায়ন করেছে জাতিসংঘ।
এর আগে সোমবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সবসময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সমর্থনে আছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ইইউ মিয়ানমারের ওপর নানারকমের চাপ সৃষ্টি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চীনের দিকে ইঙ্গিত করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের এখন সেসব রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করা উচিত যারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো ভূমিকা রাখছে না।
এ সময় ইইউ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান চাই। সে জন্য মিয়ানমারের ওপর সমরাস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি, উন্নয়ন সহযোগিতা বন্ধ এবং সামরিক জান্তার ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চাপ সৃষ্টি করেছি। বাংলাদেশের এখন প্রশ্ন করা উচিত তাদের কোন উন্নয়ন সহযোগী এ ইস্যুতে ভূমিকা রাখছে না, যারা চাইলেই এর সমাধান সম্ভব।
তার আগে গত ২২ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিলে দেশটির সরকারের অপরাধ কিছুটা কমবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের আগ্রাসনকে যুক্তরাষ্ট্রের গণহত্যার স্বীকৃতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপ ত্বরান্বিত হলে জনগোষ্ঠিটির দেশে প্রত্যাবর্তন দ্রুত হবে।
এদিকে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ১৩ দফায় প্রথম ধাপে এক হাজার ৯৬ জন রোহিঙ্গাকে বহনকারী ২০টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুর সোয়া ১টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন। তিনি জানান, বিকেলে ভাসানচরের উদ্দেশে দ্বিতীয় ধাপে আরও একটি বহর রওনা দেবে।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী কয়েকটি বাসও রওনা দেয় বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
সামছু-দ্দৌজা বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশকারী রোহিঙ্গাদের নাম তালিকাবদ্ধের জন্য উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে একটি অস্থায়ী বুথ খোলা হয়েছে। সেখানে শুধু স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে।