হোম আন্তর্জাতিক সু চির সংবিধান সংশোধন আটকে দিল সেনাবাহিনী

সু চির সংবিধান সংশোধন আটকে দিল সেনাবাহিনী

কর্তৃক
০ মন্তব্য 702 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক :

মিয়ানমারে সরকারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সংবিধান সংশোধনের একটি প্রস্তাব আটকে দিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনী।

ফলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে পার্লামেন্টে সেনা প্রভাব কমানোর সু চির স্বপ্ন গোড়াতেই ভেঙে গেল। সেই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠল। খবর এএফপির।

মিয়ানমারে ২০১৫ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আংশিক গণতান্ত্রিক শাসন ফিরে আসার পর চলতি বছরে শেষ দিকেই দ্বিতীয়বারের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

নির্বাচন সামনে করে পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর একাধিপত্য খর্ব করার লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের জোর চেষ্টা শুরু করে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।

এ নিয়ে গত প্রায় এক বছর বেসামরিক সরকার ও সামরিক নেতাদের মধ্যে চরম বিতর্ক চলছিল। শুরু থেকেই সু চির প্রস্তাব মানতে নারাজ সেনা কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে গত রোববারই (৮ মার্চ) দেয়া এক হুশিয়ারি বার্তায় সেনাবাহিনী বলে, এ ধরনের পরিস্থিতি কখনই কাম্য নয়। এটা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। এই পরিস্থিতি মিয়ানমারের ভঙ্গুর গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে সু চির সেই চেষ্টা ভণ্ডুল হয়ে গেল।

মিয়ানমারে মূলত সেনা শাসন জারি রয়েছে। ২০০৮ সালের আইন অনুযায়ী, সংবিধান সংশোধনের যেকোনো প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাস হতে হলে ৭৫ শতাংশের বেশি সমর্থন প্রয়োজন।

দেশটির পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। এছাড়া জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের ১১টি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনেও রয়েছেন সেনাবাহিনী মনোনীত ব্যক্তিরা। গণতান্ত্রিক সরকার বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে তাদের। এছাড়া ক্ষুণ্ন করে রাখা হয়েছে সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার অধিকার।

সম্প্রতি পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা হ্রাস সম্পর্কিত প্রস্তাব উত্থাপন করে সু চির দল এনএলডি। এরপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত সাংবিধানিক সংস্কার সম্পর্কিত সংসদীয় বিতর্কে অংশ নেন আইনপ্রণেতারা।

সর্বমোট ১৪৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে সেনা নিযুক্ত আইনপ্রণেতা ও এনএলডি থেকে ৫০ জন করে, ইউএসডিপি থেকে ২৬ জন এবং জাতিগত দলগুলোর সদস্যরা এ আলোচনায় অংশ নেন।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন