হোম ফিচার করোনা টিকা নিতে নড়াইলে উপচে পড়া ভীড়, ভীড় সামলাতে হিমশিম অবস্থা

নড়াইল অফিস :

সরকার ঘোষিত একদিনে এককোটি টিকা কার্যক্রমে নড়াইলের বিভিন্ন স্থানে টিকা কেন্দ্র বানিয়ে করোনা টিকা দেয়া হচ্ছে। কোথাও গাছ তলায় আবার কোথাও নির্ধারিত টিকা কেন্দ্রে সবজায়গায়ই উপচে পড়া ভীড়।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে,জেলায় ভ্রাম্যমান কেন্দ্র সহ প্রায় ২’শ ৬ কেন্দ্রে ৪০ হাজার ১ম ডোজের টিকা দেয়া হবে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে টিকা কেন্দ্র সহ জেলায় প্রায় ২’শ ৬২টি টিকা কেন্দ্রে করোনা টিকা প্রদান করা হয়েছে। প্রথম ডোজ টিকা প্রদানে লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৪০ হাজার।প্রাথমিকভাবে ভ্রাম্যমান টিকা কেন্দ্র ৩৭ টি বলা হলেও মানুষের প্রয়োজনের কথা ভেবে তা প্রায় ৮০ টিতে পরিনত হয়েছে।

জেলার পূরাতন বাস টার্মিনাল এলাকার ট্রাফিক আইল্যান্ডের সাথে একটি ভ্রাম্যমান কেন্দ্রে পথচারীদের টিকা নিতে ভীড় হয়েছে। এছাড়া চাচুড়ি,পুরুলিয়া ইউনিযন সহ কেেয়কটি এলাকায় একাধিক কেন্দ্র করায় মানুষের চাপ কিছুটা কম হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

সবচেয়ে ভীড় এবং চাপ রয়েছে নার্সিং ইনস্টিটিউটের টিকাকেন্দ্রে। এখানে ১ম ডোজের সাথে ২য় এবং ৩য় ডোজ টিকা নেবার সংখ্যা একসাথে বেড়ে যাওয়ায় কয়েকহাজার মানুষ লাইনে দাড়িয়ে টিকা নিয়েছেন। কয়েকটি বুথে টিকা প্রদান করতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আছেন রেড়ক্রিসেন্ট এর স্বেচ্ছাসেবকেরা।

কর্তব্যরত নার্স হেনা পারভীন জানান,আজকে প্রথম ডোজই দেবার কথা,কিন্ত্র মাইকিং এর কারনে অন্যরা মনে করেছেন আজই টিকা শেষ তাই ২য় এবং ৩য় ডোজের লোকেরা ভীড় করেছেন,তাই সামাল দিতে কষ্ট হচ্ছে।

ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন সব বয়সের মানুষ। কোথাও কয়েক ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন টিকা নেবার জন্য। টিকাকেন্দ্রে৩ ঘন্টা দাড়িয়ে অতিষ্ঠ হচ্ছেন কেউ কেউ।উজিরপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নারী হামেলা জানান,হাটকেত পারিনা কিন্ত এখানে রৌদের মধ্যে ৩ ঘন্টা দাড়িয়ে আছি। দূগাপুরের প্রবীন লিয়াকত বলেন,মাঠের কাজ ফেলে চলে আইছি,২ ঘন্টা দাড়িয়ে আছি আজ টিকা নিয়েই যাবো।

ভীড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আইন-শৃংখলায় নিযুক্ত লোকেরা। নাসিং ইনস্টিউট কেন্দ্রে শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে দ্বায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা হারান জানান,ভীড় অনেক বেশি,আমরা নিয়ন্ত্রন করছি,সকলেই টিকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন