আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রুশ সীমান্তের ভিতরে ইউক্রেনের দুটি গোলা বিস্ফোরিত হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এমন খবর প্রকাশের পর তা তদন্ত করে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে রাশিয়া।
অজ্ঞাত কর্মকর্তাদের বরাতে শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা আরআইএ ও তাস খবরটি দিয়েছে। প্রথমে রাশিয়ার এক কিলোমিটার ভেতরে ইউক্রেনের একটি গোলা বিস্ফোরিত হয়েছে। পরে ইউক্রেনসীমান্ত সংলগ্ন রুশ ভূখণ্ডে আরেকটি গোলা বিস্ফোরিত হয়।
এদিকে পূর্ব-ইউক্রেইনের রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পূর্ণ সামরিক প্রস্তুতির নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সংঘাতের হুমকির মুখে নারী ও শিশুদের রাশিয়ার দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর তারা এ ঘোষণা দেয়।
শনিবার স্বঘোষিত দোনেস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) প্রধান ডেনিস পুশিলিন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, তিনি সামরিক প্রস্তুতির একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং যারাই হাতে অস্ত্র নিতে সক্ষম তাদেরকে সামরিক দফতরে ডাকা হয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পর আরেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা লিওনিড পাসেচনিকও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের ক্ষেত্রে একই রকম একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন।
পূর্ব-ইউক্রেনের অধিবাসীদের রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এতে সেখানকার সংঘাত নতুন রূপ নিয়েছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে কিয়েভ সরকারের লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন বলেন, গেল দুদিন সীমান্তে যা ঘটছে, তাকে মিথ্যা উসকানি হিসেবে সাজাতে পারে রাশিয়া। সেনাপ্রত্যাহারের বদলে সেখানে অতিরিক্ত শক্তি বাড়ানো হয়েছে। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে সামরিক বাহিনীর অগ্রগামী ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘাত সম্পর্কে সরাসরি অভিজ্ঞতা থাকা একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ২০১৫ সালের পর সবচেয়ে বেশি গোলাগুলি হয়েছে পূর্ব-ইউরোপে। শুক্রবার সকালে ৬০০ বিস্ফোরণ রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও শতাধিক বিস্ফোরণ ঘটেছে। কোনো কোনো বিস্ফোরণ ১৫২ এমএম ও ১২২ এমএম কামান ও বড় মর্টারের বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, তারা সর্বত্র গুলি করছে। ২০১৪-১৫ সালের পরে আর এমন গোলাগুলি দেখা যায়নি। অন্যান্য কর্মকর্তারাও বলেন, অস্ত্রবিরতির মধ্যেও সেখানে প্রাণঘাতী লড়াই হয়েছে।