হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরায় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের নামে চলছে এনজিওগুলোর কিস্তি আদায়

সাতক্ষীরায় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের নামে চলছে এনজিওগুলোর কিস্তি আদায়

কর্তৃক
০ মন্তব্য 151 ভিউজ

জামালউদ্দীন :
দেশে বর্তমান নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুরেটরী অথরিটি সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সীমিত আকারে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিলেও মানছে না এনজিওগুলো।
নভেল করোনা ভাইরাস কেভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে জনজীবনে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি, পোল্ট্রিশিল্প, মাছ চাষ ইত্যাদি সহ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের চরম ক্ষতিসাধন দেশের উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এমতাবস্থায় সরকার জরুরী সেবা চলমান রাখার জন্য এমআরএ সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সীমিত আকারে কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য গত ০৯ মে মাইক্রোক্রেডিট রেগুরেটরী অথরিটি পরিচালক মোঃ ইয়াকুব হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারের কৃষিখাদে প্রণোদনা বাস্তবায়নের জন্য ক্ষুদ্রঋণ বা মাইক্রোক্রেডিট এমআরএ সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যক্রমের অনুমতি দেয়া গেছে। এক্ষেত্রে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে জরুরী ত্রাণ বিতরণ সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা, গ্রামীণ প্রয়োজনে গ্রাহকের সঞ্চয় ফেরত, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে রেমিটেন্স সেবা প্রদান, এজেন্ট ব্যাংকিং এর কার্যক্রম, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের ন্যায় জরুরী কার্যক্রম সমূহের পরিচালনায় বাধাগ্রস্থ বলে জানা গেছে। সে কারণে এসমস্ত খাত সচল রাখতে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম সীমিত আকারে রাখার জন্য অনুরোধ করা গেছে। নতুনভাবে বিনিয়োগে উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার ঋণ প্রদানে কৃষিখাতের উৎপাদন ও বিপনন অব্যহত রাখতে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের ধারাবাহিকতায় ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরের জরুরী ঋণ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিজস্ব তহবিল দ্বারা গঠিত নি¤œ আয়ের পেশাজীবি, কৃষক, প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পূর্ণ অর্থস্কিম ২০২০ এর সফল বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সমূহের কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু রাখা প্রয়োজন। সেকারণে সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলায় সম্প্রতি মাইক্রোক্রেডিট রেগুরেটরী অথরিটির সনদপ্রাপ্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১১ মে হতে ঋণের কিস্তি আদায়ে নেমে পড়েছে। তবে এক্ষেত্রে সরাসরি কথা হয় আলোর দিশা নামের একটি এনজিও এর ম্যানেজারের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, সক্ষমতা থাকলে কিস্তি প্রদান করবে। সক্ষমতা না থাকলে কোন জোর জবরদস্তি নেই। এদিকে জেলার পাটকেলঘাটার মুসলিম এইডের কর্মী রাজিব হোসেন তৈলকূপী বিশ্বাসপাড়া সহ বাজারের বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের কিস্তির টাকা প্রদানে চাপ প্রয়োগ করছে। এবিষয়ে তার ০১৯১৭৬৭২১৭৩ নম্বর সেল ফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৯ তারিখের মাইক্রোক্রেডিট রেগুরেটরী অথরিটির ক্ষমতাবলে আমরা কিস্তির টাকা আদায় করছি। এসময় মাইক্রোক্রেডিট রেগুরেটরীর অথরিটির পরিচালকের স্বাক্ষরিত নির্দেশনার বিষয়ে তুলে ধরা হলে তিনি বলেন আমি ওসব জানি না। আমার কর্তৃপক্ষ ঋণ আদায়ে কাজ করতে বলেছে। গত ২৫ মার্চ হতে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত সকল এনজিওকে কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও বর্তমান করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সীমিত আকারে পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। কিন্ত এনজিওগুলো সে নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অসহায় ঋণগ্রহীতাদের উপর চাপ প্রয়োগ করছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন