জাতীয় ডেস্ক :
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠেছে খোদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সামনে। পশু-পাখিদের খাবার বণ্টন কক্ষও ঘুরে দেখেন তিনি।
সেখানে পশু-পাখির খাবারের পরিমাণ ও মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সকাল ১০টার মধ্যেও অধিকাংশ প্রাণীর খাবার না পৌঁছানোয় ক্ষুব্ধ হন তিনি।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সম্প্রতি চিড়িয়াখানা ও গাজীপুরের সাফারি পার্কে প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা দেখতে সকালে পরিদর্শনে যান মন্ত্রী।
এ সময় পশু-পাখির খাবার, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নানা অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষুব্ধ হন তিনি। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সব চিড়িয়াখানায় বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যাতে কোনো জীবাণু প্রবেশ করতে না পারে।
মন্ত্রী বলেন, যে ধরনের খাবার দেওয়া হচ্ছে অতীতের চেয়ে সতর্ক হয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুষ্টিসম্মত ও জীবাণুমুক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে কিনা এজন্য পরীক্ষ-নিরীক্ষা ছাড়া গতানুগতিকভাবে এখানে যাতে আর কোনো খাবার না আসে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সকাল সাাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে যান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী। এ সময় বিভিন্ন পশু-পাখির শেড ঘুরে দেখেন তিনি। প্রথমে মন্ত্রী যান সম্প্রতি চিড়িয়াখানায় মারা যাওয়া সিংহের খাঁচায়। সেখানে যারা দায়িত্ব পালন করছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। প্রতিদিন বিকেল থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় কোনো ডাক্তার না থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত কয়েক মাসে জাতীয় চিড়িয়াখানায় মারা গেছে জেব্রা শাবক, বাঘের বাচ্চা ও সিংহী। এসব প্রাণির মৃত্যুর তদন্ত চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় কারও অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি এসব পশু মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের সব চিড়িয়াখানায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
এরপর চিড়িয়াখানার পশু হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা নজরে আসে মন্ত্রীর। দুবাই, সিঙ্গাপুরের আদলে চিড়িয়াখানা গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, দেশের সব চিড়িয়াখানায় বাড়তি সতকর্তা নেওয়া হবে যাতে কোনো জীবাণু সংক্রমিত হতে না পারে। দুবাই ও সিঙ্গাপুরের মতো চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে জানিয়ে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, অবকাঠামো উন্নয়নে মাস্টার প্লানের খসড়া মার্চের মধ্যে হাতে পাবে মন্ত্রণালয়।
তবে এ ব্যাপারে নানা অজুহাত তুলে ধরেন চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. আবদুল লতিফ।