হোম জাতীয় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পুরস্কার পেলেন নেত্রকোনার ডিসি

 

জাতীয় ডেস্ক :

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজি মো. আবদুর রহমান ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার অর্জন করেছেন। ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব উইমেন্স কর্নার’ নামে নারীদের জন্য বিশেষায়িত একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২১’-এ জেলা পর্যায়ে সাধারণ-সরকারি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল রোববার ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি উপস্থিতিতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

উল্লেখ্য ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব উইমেন্স কর্নার’-এর মাধ্যমে নেত্রকোনা জেলার যেকোনো নারী যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে আবেদন করতে পারছেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবেদন সমূহে জেলা প্রশাসক এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অন্য সংস্থার বা বিভাগের পাঠানো হলে প্রত্যেকটি আবেদনের ওপর সেসব সংস্থা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা সংশ্লিষ্ট অংশীজন নিজ নিজ অফিসে বসে তথ্য প্রদান করছেন। ফলে আবেদনসমূহ যেমন সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে পাঠানো হয়েছে, ঠিক তেমনি গৃহীত কার্যক্রমও সহজে জানা যাচ্ছে এবং সেবাপ্রাপ্তির বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে সেবা গ্রহণকারী তার আবেদনের বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা ও ফলাফল সহজে এসএমএস এর মাধ্যমে জানতে পারছেন।

এ উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার নারীদের সেবা প্রদানের বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই উদ্যোগটি চালু করা হয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যেমন ঋণের আবেদন, শিক্ষা সহায়তা, প্রশিক্ষণ, নারী নির্যাতন, আর্থিক সহায়তার জন্য প্রায় ১২০০ সেবা প্রার্থীর আবেদন ডিজিটাল রেকর্ডভুক্ত করে সহস্রাধিক বেশি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাটাবেইজে অন্তভুর্ক্ত হচ্ছে। ফলে কোনো নারীর চাহিত সেবা বা আবেদন অনিষ্পন্ন থাকবে না। সেবার প্রাপ্তির আবেদন ও গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজলভ্য হওয়ায় এবং দ্রুততার সহিত ও নিশ্চিতভাবে সেবা পাওয়ার ফলে নারীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন ও সাহস পাচ্ছেন। ফলে এ উদ্যোগটি নারী শিক্ষা, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, দরিদ্র বিমোচন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারী উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের অসামান্য অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং নারীদের জন্য সাহস ও অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াসে উদ্যোগটির নামকরণ ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব উইমেন্স কর্নার’ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন