নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় এলাকাকে দূর্যোগ প্রবন এলাকা ঘোষনা করে টেঁকসই বেঁড়িবাধ নির্মান দ্রুেত বাস্তবায়ন ও লবনাক্ত নিরাসনে পদক্ষেপ গ্রহনসহ ৫ দফা দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপকুলীয় এলাকার ১০ হাজার মানুষের স্বাক্ষরিত এক স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে উক্ত স্মারক লিপি প্রদান করেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বিন্দু নারী সংগঠনের নির্বাহি পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া।
এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, উন্নয়ন কর্মী সাদিয়া সুলতানা, তারিশা তাসনিম, তরিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
স্মারক লিপিতে এ সময় তারা উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সবচেয়ে বেশী ঝুকিতে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সাইক্লোন, বন্যা, খরা, লবনাক্ততা, নদী ভাঙন, বেঁড়িবাধ ভাঙন ও পানির সমস্যা সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় এলাকার মানুষের নিত্য সঙ্গী। সাতক্ষীরা জেলায় ৫ হাজার ৪০২টি পানির উৎস সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির সংকটে রয়েছে জেলা ১০ লক্ষাধিক মানুষ।
এছাড়া ১৯৬০ থেকে ৬৫ সালের নকশায় তৈরী বেঁড়িবাধ ৩৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার ঝুকিতে রয়েছে। ২০০০সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে লবনাক্ত জমি ৩৬ হাজার হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে তারা সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় এলাকাকে দূর্যোগ প্রবন এলাকা ঘোষনা করে টেঁকসই বেঁড়িবাধ নির্মান দ্রুত বাস্তবায়ন, নির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা, লবনাক্ত নিরাসনে পদক্ষেপ গ্রহন, সুপেয় পানির উৎস পূনরাদ্ধার সুন্তরবন রক্ষা ও পরিকল্পনাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধসহ ৫ দফা দাবীতে তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই স্মারক লিপি প্রদান করেন।