হোম জাতীয় ব্রিজে উঠতে বাঁশের সাঁকো!

জাতীয় ডেস্ক :

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তেবাড়িয়া- দপ্তিয়র-কদিম কাটনা সড়কে গত এক বছর আগে তিনটি কালভার্টের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও শেষ হয়নি কালভার্টের সংযোগ রাস্তা নির্মাণ। ফলে কালভার্টে উঠতে মানুষজনকে বাঁশের সাঁকো ব্যাবহার করতে হচ্ছে। ফলে স্থানীয় লোকজন চরম দুর্ভোগে স্বীকার হচ্ছে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তেবাড়িয়া- দপ্তিয়র-কদিম কাটনা রাস্তায় ১ হাজার ৫০০ মিটার অ্যাপ্রোচ রাস্তার সাথে তিনটি বক্স কালভার্ট নির্মাণে দুই কোটি ১৬ লাখ কোটি টাকার প্রকল্পটির কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস কনস্ট্রাকশন। এতে প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের আগস্ট মাসে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে তিনটি কালভার্ট নির্মাণ করলেও এখন পর্যন্ত অ্যাপ্রোচের কাজ শেষ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

স্থানীয়রা জানান, উন্নয়ন প্রকল্পটি সঠিকভাবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং এলজিইডির প্রকৌশলীদের অবহেলা রয়েছে। রাস্তায় কালভার্ট নির্মাণের কাজের সময়ও তারা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল এবং এখন তারা নবনির্মিত কালভার্টগুলিতে অ্যাপ্রোচ রাস্তার অভাবে ভুগছে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার আনিসুর রহমান বলেন, তিনি সময়মতো তিনটি কালভার্টের নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন কিন্তু বন্যা এবং করোনাভাইরাসে সারাদেশে লকডাউন থাকার কারণে তিনি সড়কের অ্যাপরোচের মাটি ফেলতে পারেননি।

দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ সিদ্দিক বলেন, দপ্তিয়র, ধুবড়িয়া এবং সলিমাবাদ ইউনিয়নের অধীনে বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার অসম্পূর্ণ নির্মাণ কাজের কারণে স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে অনেক কষ্ট ভোগ করছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা এলজিইডি অফিসের ঠিকাদার ও প্রকৌশলী উভয়কেই দ্রুত অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ করেছি। এখনও কাজ শুরু করেনি।

নাগরপুর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বেশ কয়েকটি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এতেও ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো পাত্তা দেয়নি। পরবর্তীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল করার জন্য জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন