হোম অন্যান্যসারাদেশ মণিরামপুরে কয়লা তৈরি কারখানায় দেদারছে পুড়ছে কাঠ

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

যশোরের মণিরামপুরে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে কয়লা তৈরির কারখানা। কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা কয়লাগুলো ঢাকাসহ বড় শহরের নামীদামি হোটেল রেস্তোরায় চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই কাঠ পুড়িয়ে এ কয়লা তৈরি করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন।

গত বুধবার সরেজমিন গেলে দেখা যায়, উপজেলার কুলিপাশা গ্রামে রাস্তার ধারে ৫টি কয়লা তৈরির পাঁজা (কারখানা) থেকে ধোঁয়া উঠছে। কাছে যেতেই দেখা যায় পাঁজার ভিতরে কাঠ বোঝাই দেয়া যা আগুনে জ্বলছে। প্রতি মাসে কয়েক হাজার মণ কাঠ দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে এখানে।

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিশেষ কায়দায় তৈরিকৃত পাঁজায় (কারখানা) পুড়ানো হচ্ছে এ কাঠ। আর কাঠ পুড়িয়ে তৈরিকরা কয়লা চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে। কিন্তু এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন এ পাঁজার ধোয়ায় এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ঠ হচ্ছে। অপর দিকে এলাকার ছোট-বড় গাছপালাগুলো সাবাড় হয়ে যাচ্ছে।

ইব্রাহিম নামের এক শ্রমিক জানায়, স্থানীয় বিষু নামের জনৈক ব্যক্তির ১৭ কাঠা জমি লীজ নিয়ে ঢাকার আমিন বাজারের আমির হোসেন বাদশাহ এবং স্থানীয় শাহিন নামে দু’ব্যক্তি অংশিদারির ভিত্তিতে কয়লা উৎপাদন করাচ্ছেন।

পাঁজার (কারখানার) মালিক আমির হোসেন বাদশাহ জানান, প্রায় ১ লাখ ২০ টাকায় তৈরীকৃত প্রতি পাঁজায় মাসে দু’বার কয়লা উৎপাদিত হয়। এজন্য প্রতি পাঁজায় ২৫০ মণ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পুড়ানো হয়। প্রতিবার ২৮ থেকে ২৯ বস্তা কয়লা হয়। প্রতি বস্তা কয়লা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। আরেক মালিক শাহিন জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র ছাড়াই তৈরি করা পাঁজাটি (কারখানা) এলাকায় পরিবেশের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে না। পাঁজা থেকে বের হওয়া ধোয়া কাঠের পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে যপ্রবি (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)-এর পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, যে কোন ধরনের ধোয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যহানী ঘটতে পারে। গাছ তথা কাঠ পোড়ানোর ধোঁয়া সাথে ছাই আশেপাশের ফসল-ফলের ক্ষতি সাধন হতে পারে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আহাদ আলী বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে পাঁজা মালিক ও জমি মালিককে পরিষদে ডাকা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন