হোম ফিচার চিকিৎসক ও সাংবাদিকের গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, যা বললো ডিএমপি

সংকল্প ডেস্ক :

সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর প্রথম দিন বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীতে একজন চিকিৎসক ও একজন ফটো সাংবাদিকের গাড়ি আটকানো ও মামলার ঘটনায় সৃষ্ট সমালোচনার মুখে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ- ডিএমপি থেকে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। ডিএমপির মিডিয়া শাখার উপ-পুলিশ কমিশনারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কাওরান বাজারে পুলিশ একটি প্রাইভেটকারের ড্রাইভারকে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি গাড়িটি জনৈক চিকিৎসকের বলে বর্ণনা দেন। কিন্তু চিকিৎসক গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। ড্রাইভার গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হলে তাকে গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। কিন্তু কাগজপত্রে বর্ণিত গাড়ির মালিকের সঙ্গে বর্ণিত চিকিৎসকের সামঞ্জস্য না থাকায় ড্রাইভারের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।’

ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এছাড়া অপর আরেকটি ঘটনায় জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় একজন নাগরিক নিজ বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বের হলে কাওরান বাজার, ফার্মগেট. বিজয় সরণীসহ বেশ কয়েকটি চেকপোস্টের মুখোমুখি হন। এতে স্বভাবতই হাসপাতালে পৌঁছাতে তার দেরি হচ্ছিল। জাহাঙ্গীর গেট সংশ্লিষ্ট চেকপোস্টে তিনি ৩০ সেকেন্ডের মতো আটক ছিলেন বলে জানান, যাতায়াতের সময় যারা আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদেরকেই যথাযথ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। যেটি চলমান বিধিনিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে যৌক্তিক একটি বিষয়।’

ডিএমপি জানায়, ‘কিছু কিছু মিডিয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কিছু ব্যক্তিবর্গ পুলিশের চেকপোস্টে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতির কারণে ১৪ এপ্রিল ভোর ছয়টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নের শুরু থেকে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে মাঠে রয়েছে পুলিশ।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন