হোম অন্যান্যসারাদেশ মণিরামপুরে ইউপি উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে দূর্নীতির অভিযোগ দায়ের

মণিরামপুরে ইউপি উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে দূর্নীতির অভিযোগ দায়ের

কর্তৃক
০ মন্তব্য 77 ভিউজ

মণিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি:

তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকাসহ সাবেক ইউএনও’র উপর হামলার আসামী ইউডিসি’র উদ্যোক্তা আজিজুর রহমান ওরপে আজুরের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা টুনিয়াঘরা গ্রামের মৃত মীর শওকত আলীর ছেলে আজু ভোজগাতী ইউনিয়নের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে অজ্ঞতা থাকায় ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে তথ্য সেবা কেন্দ্রের কাজ চালান বলে অভিযোগ। এ নিয়ে এলাকাবাসি তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের আলোকে জানাযায়, উপজেলার ৩নং ভোজগাতী ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের (ইউডিসি) উদ্যোক্তা একই ইউনিয়নের টুনিয়াঘরা গ্রামের মৃত.শওকত মীর এর পুত্র মোঃ আজিজুর রহমান (আজু) কম্পিউটার বিষয়ে একজন অনভিজ্ঞ ও অযোগ্য। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে তার নুন্যতম ধারনা নেই। নিজে অনভিজ্ঞ হওয়ার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের যাবতীয় কাজ করার জন্য বাইরে থেকে ভাড়াটিয়া হিসেবে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে পারদর্শী লোক এনে কাজ করিয়ে নেন।

এতে সেবা নিতে আসা বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষ অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়। পাশাপাশি বিড়ম্বনা ও হয়রানিতো রয়েছেই। ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য কেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহনকারীকে একটা নুন্যতম ফি প্রদান করতে হয়। কিন্তু আজিজুর তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে অনভিজ্ঞ হওয়ায় ভাড়াটিয়া হিসেবে কাজ করা লোকটির অর্থ যোগান দিতে সেবা গ্রহণকারীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আঁদায় করে নিচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুধু নিবন্ধন ফি হিসেবে নিচ্ছেন ৮’শ টাকা।

তাছাড়া একটি জন্ম সনদ নিতে ৮ মাস পর্যন্ত সময় নিচ্ছেন। যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও বে-আইনি। সে জি-মেইল, ই-মেইল পাঠানো সম্পর্কে নুন্যতম ধারনা নেই বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগের আরও জানা যায়, নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাধারণ জনগণ ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে যে কোন সেবা নিতে আসলে বিভিন্ন অজুহাত ও ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে সেবা গ্রহণকারী অতিরিক্ত অর্থ দিতে অপারগতা ও প্রতিবাদ করে-তাহলে ভূক্তভোগীদের ৩ দিনের কাজ শেষ করতে ৩ মাস সময় নেন উদ্যোক্তা আজিজুর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনেক ভূক্তভোগী উদ্যোক্তা আজিজুরকে একজন লোভী ও বিভিন্ন অবৈধ কাজের সাথে আছেন বলে অভিযোগ করেন। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর চালকিডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন তৎকালিন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ নজরুল ইসলামকে মারপিটসহ গাড়ী বহরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করার মামলাসহ একাধিক মামলা বিচারাধিন রয়েছে। সেই মামলায় আজিুজুর রহমান ওরুপে আজু ৯ নং আসামী। যেই মামলা সমূহ

-১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩৪১/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩২৩/৩০৭/৪৩৫//৪২৭/১৪৪ ধারায় (পেনাল কোড) বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধিন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ ইমরান হোসেন জানান, ইউনিয়নের বিড়ম্বনার শিকার ও ভূক্তভোগিদের অনুরোধে আমি বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি। তাছাড়া অভিযোগপত্রের বিষয়াবলী সত্য হিসেবে উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও একাধিক ইউপি সদস্য। এছাড়া এলাকাবাসির গণস্বাক্ষর সম্বলিত কপি ও জমা দেয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা আজিজুর রহমান আজু বলেন, মামলার বিষয়টি সম্পূর্ন ষড়যন্ত্র ছিল। আর আমি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে যে টুকু জানি-তা দিয়ে সেবা কেন্দ্রের কাজ করতে পারি। স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগপত্রে তার সাক্ষরের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোতি ছাড়া কোন তথ্য প্রদান করবেন না বলে জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন