হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনির আগরদাড়ী হাইস্কুলে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

আশাশুনির আগরদাড়ী হাইস্কুলে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 120 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

আশাশুনির আগড়দাড়ি রহিমিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ নিয়ে ঘুষ বাণিজ্য শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী মোঃ আক্তারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। শনিবার আক্তারুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে লিখত একটি অভিযোগ করেন । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ আবুল কালাম আজাদ, স ম খলিলুর রহমান, মোঃ আব্দুল আলীম প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আগরদাড়ী রহিমিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১১ মার্চ ২০২০ তারিখে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারীর পর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার পুত্র খায়রুল ইসলামকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রভাব খাটাতে থাকে। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির একজন বাদে সকলেই একই প্যানেল-ভুক্ত হওয়ায় সভাপতিই এখন সর্বেসর্বা।

ফলে তিনি তার পুত্রকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের এক করার পাশাপাশি মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করেছেন। এজন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশিত তদন্ত ছাড়াই গত ০৪.০৯.২০২০ তারিখ শুক্রবার জেল প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন নিয়োগ বোর্ড বসান। কিন্তু উপরমহলের নির্দেশে তা আবার বন্ধও করা হয়।

তবে ডিজির প্রতিনিধি মৌখিকভাবে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর রোববার পরীক্ষার নতুন তারিখ জানিয়েছেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ২৪ আগস্ট ইবাদুল ইসলামসহ ৬ জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক বরাবর দিলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হলেও আজও তার তদন্ত করা হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সরজমিনে কিম্বা আবেদনকারীদের বক্তব্য না নিয়ে মনগড়া তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন।

এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে ডিজির প্রতিনিধি সরকারী বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার জানিয়েছেন, এডিসি জেনারেল স্যারের সাথে পরামর্শ করে শুক্রবারের বোর্ড স্থগিত করেছি। অভিযোগ নিয়ে গঠিত তদন্ত টিমের তদন্তের আগে নিয়োগ বোর্ড বসবে না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জানান, অভিযোগ তদন্ত না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে সম্পন্ন না হয় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল আলিম জানান, সভাপতির পুত্র খায়রুল ইসলামের কম্পিউটারে দক্ষতা নেই। নাম মাত্র সার্টিফিকেট দাখিল করলেও তা নিয়ে নানা মুখী কথাবার্তা আছে। তিনি আরো বলেন, ২১টি আবেদনের মধ্যে যাচাই বাছাইয়ে টিকে থাকা ১৫জন আবেদনকারীর মধ্যে অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন বেকার যুবক আছে।

আব্দুল আলিম আরও জানান, সভাপতি ইয়াহিয়া মোল্লাহ ইতোপূর্বে শিক্ষক পদে তার জামাতা এবং ছোট ভাইকে একই স্কুলে ঢুকিয়েছেন। এবার পুত্র খায়রুল ইসলামকে ঢুকিয়ে স্কুলটিতে পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চান। এছাড়াও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সভাপতি ইয়াহিয়া মোল্লাহ ইতোপূর্বে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন