হোম অন্যান্যসারাদেশ যশোরে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর সমাবেশে প্রচলিত সমাজব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান

যশোরে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর সমাবেশে প্রচলিত সমাজব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান

কর্তৃক
০ মন্তব্য 138 ভিউজ

যশোর অফিস :

দূর্নীতি, দুশাসন, দূর্যোগ, মহামারি-মহাদূর্ভিক্ষের কারণ নয়াউপনিবেশিক আধাসামন্তবাদী ব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রাম বেগবান করার আহবানে দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার দুপুর ১২ টায় যশোর জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলা ফ্রন্টের সহ-সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা মধুমঙ্গল বিশ্বাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কৃষক সংগ্রাম সমিতির জেলা সহ-সভাপতি আবু বক্কার সরদার, ফ্রন্টের জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক কামরুল হক লিকু, সদর থানার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ আহাদ আলী লস্কর, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান রাজেস, সদস্য হিরণ লাল সরকার ও জাতীয় ছাত্রদলের জেলা আহŸায়ক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্মে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে আজ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। সরকার সন্ত্রাসীদের দমনের পরিবর্তে প্রতিটি ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং ব্যক্তির দায় হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। অথচ সরকারি দলের মদদে একের পর এক লোমহর্ষক সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটে চলেছে, যা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পর্যন্ত। যার সর্বশেষ শিকার হয়ে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটার ইউএনও ওয়াহিদা খানম আজ জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে সরকার ‘আপনার সুরক্ষা, আপনার হাতে’ ¯েøাগান সামনে এনে কার্যত নিজেদের দায় অস্বীকার করে চলেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে যখন ব্যাপকভাবে সারাদেশে করোনা পরীক্ষা চালু করা উচিত তখন সরকার করোনা পরীক্ষার ফি জনগণের নিকট হতে আদায় করছে। কনোরা পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানবেতর জীবনযাপন করা জনগণের নিকট তা ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’ তুল্য। করোনা মহামারির পাশাপাশি আম্ফান ও বন্যার দূর্যোগে দেশের শ্রমিক-কৃষক মেহনতি জনগণের জীবন দিশেহারা। আম্ফান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ, সকল কৃষি ও এনজিও ঋণ সুদসহ মওকুফ, ধান-পাটসহ কৃষিপণ্যে ক্রয়ে সকল দূর্নীতি-অনিয়ম বন্ধ করে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা জরুরী হলেও সরকার এ ব্যাপারে কার্যকর ভ‚মিকা নেয়নি। তার ওপর চাল, ডাল, পিয়াজ, আলুসহ সকল নিত্যপণ্যে লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে মেহনতি মানুষকে অনাহার-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।

বিদ্যুতের ভ‚তুড়ে বিলের চাপে জনগণকে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ রকম সময়ে সরকার সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের সংস্থাসমূহের নীতি-নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলকে ধারাবাহিকভাবে অলাভজনক দেখিয়ে ধ্বংস করার প্রক্রিয়ার চুড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে পাটকল বন্ধ করা ও শ্রমিকদের কর্মহীন করে শ্রমিক পরিবার এবং পাটের ওপর নির্ভরশীল পাট ও পাটজাত পণ্যের ক্ষুদ্র শিল্প, পাটচাষী ও পাটব্যবসায়ীসহ কোটির অধিক জনগণের জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সরকারের এহেন স্বৈরতান্ত্রিক গণবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জনগণ যাতে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে না পারে সে জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮সহ কালকানুন জারি করে জনগণের বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করার পাশাপাশি বিনাবিচারে হত্যা, খুন, গুম, ক্রসফায়ার চালিয়ে ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এমতবস্থায় জনস্বার্থে দূযোর্গ-মহামারী-দূর্নীতি-ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় সর্বস্তরের জনগণের সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ, খাদ্য, চিকিৎসা ও রেশনিংয়ের দাবিতে সমাবেশে থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন