রিপন হোসেন সাজু মণিরামপুর, (যশোর):
মণিরামপুরের নেহালপুর ইউনিয়নের পাঁচাকড়ি গ্রামে ভিলেজ মার্কেট স্থাপিত হওয়ার কারনে ৫শ’ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। যার কারনে ওই গ্রামের একটি মহল্লার মানুষ চরম দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। তাদের দাবী, বিকল্প ভাবে দ্রত পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না করলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিল কেদারিয়ায় বিলে এলাকার সমস্ত পানি একটি নালা দিয়ে নিস্কাশন হয়ে আসছিল। গত ২০১৭ সালে প্রায় ১০ কোটি ব্যয়ে এখানে বিদেশী একটি কোম্পানি জমি ক্রয় করে এলাকার কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে ভিলেজ মার্কেট তৈরি করে। যার কারনে পাঁচাকড়ি গ্রামের ওই মহল্লার প্রায় ৫শ’ পরিবারের পানি নিস্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে পড়ে। তাদের দাবী, বিকল্প কোন পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা বিগত ৩ বছর ধরে পানিবন্দী হয়ে আসছে। দ্রæত পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না করলে তারা গৃহহীন হয়ে পড়বে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মার্কেট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করলে তারা কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও এলাকাবাসীর দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে মার্কেট কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করে বলেন, তাদের মার্কেটের কারনে কেউ পানিবন্দী হয়ে পড়েনি।
আব্দুল বারিক মোল্যা নামে পানিবন্দী একজন জানান, পাড়ার ৫টি কবরস্থান বর্তমান পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ মুহুর্তে কোন মানুষ মারা গেলে কবর দেয়ারও সমস্যা হয়ে পড়বে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, শুধুমাত্র ভিলেজ মার্কেট তৈরি হওয়ার কারনে বাড়ি-ঘরে মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেতে একমাত্র উপায় বিকল্প পানি ব্যবস্থা। সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে মানুষের দুঃখের শেষ নেই।
পানিবন্ধী হয়ে পড়ার কথা স্বীকার করে নেহালপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজমুস সাদাত জানান, মার্কেট তৈরি করার সময় পানি নিস্কাশনের জন্য বিকল্প পথ তৈরি করে দিতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু পাড়ার দু’গ্রæপের জমির বিরোধের কারনে করা সম্ভব হয়নি। এখন একটি নালা করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।