হোম আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতিনিধিরা পৌঁছানোর আগ মুহূর্তে আমিরাতে জোড়া বিস্ফোরণ

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতিনিধিরা পৌঁছানোর আগ মুহূর্তে আমিরাতে জোড়া বিস্ফোরণ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 82 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগীদের পৌঁছানোর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবি এবং দেশটির পর্যটন কেন্দ্র দুবাইয়ে পৃথক দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত একজন নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার আবু ধাবি এবং দুবাইয়ে পৃথক বিস্ফোরণে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, সোমবার ভোরের দিকে দুবাইয়ের একটি রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন।

আবু ধাবির দৈনিক দ্য ন্যাশনাল দুবাই সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, বিস্ফোরণের কারণে আগুনের সূত্রপাত হলে রেস্টুরেন্ট ভবনের নিচ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ৩৩ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

আবু ধাবির রশিদ বিন সাঈদ স্ট্রিটের কেএফসি অ্যান্ড হার্ডিস রেস্টুরেন্টেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দ্য ন্যাশনাল বলছে, এই বিস্ফোরণে রশীদ স্ট্রিটের অন্যান্য দোকানপাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আবু ধাবি পুলিশ বলছে, বিস্ফোরণের কারণে বেশ কয়েকজন সামান্য ও মাঝারি জখম হয়েছেন। ভবন ও এর আশপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

সামাজিক ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, পৃথক বিস্ফোরণের এই ঘটনায় দুটি রেস্টুরেন্ট ভবনে বিশাল আগুনের কুণ্ডলি আকাশে দিকে উড়ছে। বিস্ফোরণ স্থলে কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর শীর্ষ একাধিক সহযোগী আজ (সোমবার) আরও পরের দিকে আবু ধাবিতে পৌঁছাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আবু ধাবির রশিদ সাঈদ স্ট্রিটটি বিমানবন্দর সড়ক নামেও পরিচিত। বিমানবন্দরে অবতরণের পর এই সড়ক হয়ে আমিরাতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাবেন মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

গত ১৩ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিতে পৌঁছেছে তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন লড়াই, ফিলিস্তিন ইস্যুসহ মধ্যপ্রাচ্যের পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি খোল-নলচে পাল্টে যেতে পারে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েল-আমিরাতের চুক্তিটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল এবং এটি বাতিল হওয়া উচিত।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন