নিউজ ডেস্ক:
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে সুস্পষ্ট অপরাধ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা—এমনটি জানিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, বর্তমানে তাদের এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আইনি সুযোগ নেই।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের পাঠানো চিঠির জবাবে ইসি স্পষ্ট করেছে, শেখ হাসিনা দণ্ডবিধির ১৮১ ধারার আওতায় মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তবে এটি মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে উত্থাপন না হওয়ায় এবং সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় এখন ইসির সরাসরি পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব নয়।
ইসি আরও জানায়, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, যে ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের নিকট হলফনামা প্রদান করা হয়েছে, সেই ম্যাজিস্ট্রেট বা তার ঊর্ধ্বতন কোনো সরকারি কর্মকর্তা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে মামলা দায়েরের পথ উন্মুক্ত রয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ২২ মে শেখ হাসিনার ২০০৮ সালের হলফনামা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই বছরের ১৮ মে থেকে তার অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত নতুন অনুসন্ধান শুরু হয়, যার দায়িত্বে রয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন একটি দল।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর আগেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের অর্থ লুটপাট সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগে তদন্ত চলছে। পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও আরও কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছয়টি চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। আদালত এই চার্জশিট আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এছাড়া, গত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাটের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।