নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির নায়েবে আমির মুফতি আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমেদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী প্রমুখ।
মামুনুল হক বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের এজেন্ডা ও ইতিহাস আমরা জানি। তাদের মানবাধিকার বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। তাই বাংলাদেশে তাদের ডেকে আনার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। জনগণ তা মেনে নেবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইসলামপন্থিরা এখন পর্যন্ত আপনাদের সহযোগিতা করছে। তাই আপনারা হাজারও শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় দেশে গুম-খুন ও ধর্ষণের মতো অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে পাশে পাইনি। বাংলাদেশে কাদিয়ানী মতবাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।
মামুনুল হক সরকারের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদকে ইসলামবিরোধী ও সমকামীদের এজেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা তিন দিনের মেহমান। নির্বাচন ও সংস্কার করে বিদায় নিন। খুনিদের বিচার করেন। এর বাইরে কিছু করতে যাবেন না। নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার।
হেফাজতের নায়েবে আমির মুফতি আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, বর্তমান সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি। অথচ তারা সুযোগের অপব্যবহার করছে। বিশ টাকার নোট থেকে মসজিদের ছবি সরিয়ে মন্দিরের ছবি দিয়েছে। দেশে মানবাধিকার কার্যালয় করার ম্যান্ডেট এ সরকারকে দেওয়া হয়নি। তিনি প্রয়োজনে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও এবং ঢাকা ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে গিয়ে শেষ হয়।