হোম খুলনানড়াইল নড়াইলে অনলাইনে  প্রতারণা, আপন দুই ভাইসহ গ্রেপ্তার চার

নড়াইলে অনলাইনে  প্রতারণা, আপন দুই ভাইসহ গ্রেপ্তার চার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 55 ভিউজ
নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় অনলাইনে প্রতারণা মামলায় আপন দুই ভাইসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকাল থেকে ছয় ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে উপজেলার রঘুনাথপুর ও যাদবপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৬ টি মুঠোফোন ও সিম উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের শেখ বাহার উদ্দিনের দুই ছেলে মো. নাজমুল হুসাইন (৩১) ও বাপ্পি হাসান অভি (২৭), একই গ্রামের মো. আফসার মীনার ছেলে মো. রনি মীনা (৪১) এবং একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. শুকুর আলী মুন্সির ছেলে মো. মুসাব্বির মুন্সি (২৮)। তাঁরা সাইবার সুরক্ষা ও প্রতারণার দুইটি মামলার আসামি।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আপন দুই ভাইসহ এই চারজন অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির নামে মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ আয় করতেন। সাইবার সুরক্ষা ও প্রতারণার দুটি মামলার সূত্র ধরে গতকাল সোমবার সকালে প্রথমে কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুরে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মুসাব্বির নামে একজনকে৷ পরে পাশের যাদবপুরে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আপন দুই ভাই নাজমুল ও বাপ্পীকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁদের পরিবারের লোকজন প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মুঠোফোন ও সিম জব্দ করতে সক্ষম হয়। এরপর একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় রনি মীনা নামে আরেকজনকে। তাঁর কাছ থেকেও মুঠোফোন ও সিম জব্দ করা হয়।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন,  এই প্রতারকরা গ্রামের গরিব মানুষদের ফিঙ্গার দিয়ে সিম কেনায়। এরপর প্রতারকরা আবার ওই মানুষদের থেকে সেই সিম বেশি টাকা দিয়ে কিনে নেয়। এরপর তাঁরা ওয়েবপেইজ খোলে। সেখানে ইলিশ মাছ, বাইক ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন পণ্য কম দামে বিক্রির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেয়। সেই বিজ্ঞাপন মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য ফেসবুকে বুস্ট করে। কম দামে এতো দামি পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এরপর কেউ পণ্য কিনতে চাইলে প্রতারকরা প্রথমে  অল্প কিছু টাকা দিয়ে বুকিং দিতে বলে, পরে ডেলিভারি দেওয়ার কথা বলে ধাপে ধাপে কৌশলে আরও টাকা নেয়৷
তিনি বলেন, প্রতারকরা এই কাজে ব্যবহার করে গরিব মানুষদের দিয়ে কেনানো ওই সিম। আর একবার ব্যবহার করে ওই সিম তাঁরা ফেলে দেয়।  আর যেহেতু সিমগুলো আসামিদের নামে নিবন্ধিত নয়, সেহেতু মামলা হলে তদন্তের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। তারপরও আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা নড়াইলের অনলাইন প্রতারকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। দুই ভাইসহ চারজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। ওই অঞ্চলে আরও অভিযান পরিচালনা করব। আশা করছি, অন্য প্রতারকদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা অনলাইনে ফোন, ইলিশ মাছ, মোটরসাইকেল বা যেকোনো পণ্য কম মূল্যে বিক্রির চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে যাচাই-বাছাই না করে অগ্রিম কোনো টাকা পেমেন্ট করবেন না। অনলাইনে পণ্য কিনলে ক্যাশ অন ডেলিভারি অর্থাৎ পণ্য হাতে পেয়ে টাকা দিবেন এমনভাবে কিনবেন, প্রতারণার ফাঁদে পড়বেন না। আর কোনোভাবে প্রতারণার শিকার হলে পুলিশের কাছে আসবেন। আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ পরিমাণ সহায়তা করব। #

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন