হোম বরিশালঝালকাঠি ঝালকাঠির রাজাপুরে পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন 

ঝালকাঠির রাজাপুরে পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন 

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 35 ভিউজ
কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী:
ঝালকাঠির রাজাপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ভূতুড়ে বিল তৈরি সহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন কয়েক’শ গ্রাহক।
সোমবার উপজেলার নৈকাঠি এলাকায় খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন ,ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীরা গ্রাহকদের হয়রানি, মনগড়া বিল তৈরি ও অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন। গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধ ওভূতুড়ে বিলের প্রতিকার করতে হবে।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস মাসিক মিটারের ইউনিটে অতিরিক্ত রিডিং দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, এসব অতিরিক্ত বিল অনেক সময় ১৫-২০ দিনের মধ্যে সমন্বয় করা হয় না, ফলে প্রতি ৩-৪ মাস পরপর তারা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ বা তার বেশি বিলের সম্মুখীন হন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, বাবুল মীর, মো. জাকির হোসেন, বশির আহম্মেদ ও মো. দেলোয়ার হোসেন সহ আরও অনেকে। তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুর্নীতির কারণে সাধারণ গ্রাহকরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। “এক মাসে ৫০০ টাকার বিলের পরের মাসে বিল হয় ১৫০০ টাকা, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। একই রকম বিদ্যুৎ ব্যবহার করেও এমন বিল কিভাবে হয়, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।”
বক্তারা আরও বলেন,“ভ্যাট, মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ সবকিছুই গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হয়। অথচ সেবার মান নেই, গ্রাহকরা বিল সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে অফিসে গেলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয় এবং সমাধানের পরিবর্তে বলা হয় ‘পরের মাসে আসেন, তখন ঠিক হয়ে যাবে।’ এতে করে দুর্নীতির শিকার হয়ে সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন,“গ্রাহকরা ভ্যাট, মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ—সবই পরিশোধ করছেন। এরপরও কেন আলাদা করে ডিমান্ড চার্জ দিতে হবে?” অনেক সময় বিদ্যুৎ খুঁটি কিংবা মিটার নষ্ট হলে তা পরিবর্তনের জন্য ঘুষ দিতে হবে কেনো?
বক্তারা দাবি জানান, দ্রুত এই অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি দ্রুত এই সমস্যা সমাধান না হয়, তাহলে আগামীতে আরও বড় আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
রাজাপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অঃ দাঃ) প্রকৌ. মোঃ রবিউল হোসেন বলেন, মিটারে যে রিডিং হয় সেই অনুযায়ী বিল তৈরি করা হয়। গরম কাল আসছে অনেকেই বেশি বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে যার কারণে বেশি বিল হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন