স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কলম্বিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। এ ম্যাচে পাঁচের পরিবর্তে সাতজন খেলোয়াড় বদলি হিসেবে নামায় সেলেসাও কোচ দরিভাল জুনিয়র। এতে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে তাহলে কি ফিফার নিয়ম ভেঙেছে ব্রাজিল?
এর উত্তর হচ্ছে না। সেলেসাও কোচ দরিভাল নিয়মের মধ্যে থেকেই সাতজন বদলি খেলোয়াড় নামিয়েছেন। ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত করা গোলের পর শেষদিকে কোচ দরিভাল জুনিয়র তুলে নেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে। তাকে বদলি করে নামানো হয় লিও ওরটিজকে। অথচ তিনি সেলেসাওদের সপ্তম বদলি খেলোয়াড়।
মূলত কনকাসনের (ইনজুরিজনিত বদলি) কারণে দুটি বাড়তি খেলোয়াড় নামায় ব্রাজিল। যা নিয়মের অধীনে থেকেই। এই ম্যাচে চোটের কারণে খেলার মাঝেই মাঠ ছাড়তে হয় মিডফিল্ডার গারসন ও গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে। ফলে তাদের স্থলাভিষিক্ত কাউকে তো নামাতেই হতো। সেটি অবশ্য স্বাভাবিক সাবস্টিটিউটের আওতায় পড়বে না।
ফিফার কনকাশন প্রটোকলে বলা হয়েছে, কোনো ফুটবলার যদি ম্যাচের সময় মাথায় আঘাত পান তবে তার জায়গায় একজন নতুন খেলোয়াড় মাঠে প্রবেশ করতে পারবে। এ ছাড়া কোনো দল কনকাশন সাব করলে, বাড়তি একজন খেলোয়াড় বদলি নামাতে পারবে তাদের প্রতিপক্ষরাও। অর্থাৎ, ইনজুরির কারণে ওই খেলোয়াড় বদলি করার সুযোগ তো থাকছেই, এর বাইরে স্বাভাবিক নিয়মে ৫টি বদল করতে পারে দলগুলো। ব্রাজিল বাড়তি সাব করায় অ্যালিসন ও গারসনের কনকাশন হিসেবে।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় গারসনকে, ফলে তার জায়গায় নামানো হয় জোয়েলিন্টনকে। ৭১ মিনিটে কলম্বিয়ার ড্যাভিনসন সানচেজের সঙ্গে সংঘর্ষ লেগে মাথায় আঘাত পান গোলরক্ষক অ্যালিসন। ফলে দুজনকেই মাঠ ছাড়তে হয়। সে কারণে বাকী সময় ব্রাজিলের গোলবার সামলাতে হয়েছে ম্যাথিয়াস বেন্তোকে।
এর বাইরে ব্রাজিল ভিনিসিয়ুস, ভেন্ডারসন, গুইমারেস, রদ্রিগো ও ম্যাথিউস কুনহার বদলি ফুটবলার নামিয়েছিল। এ ছাড়া ১০ ফুটবলারের ওপর ছিল হলুদ কার্ড দেখলে আর্জেন্টিনা ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা। যা সত্যি হয়েছে দুজনের ক্ষেত্রে, গুইমারেস ও গ্যাব্রিয়েল মাগালায়েসের।