হোম খুলনানড়াইল নড়াইলে সাবেক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার( ভূমি) ও পৌর নায়েবের দূর্নীতির তদন্ত শুরু

নড়াইলে সাবেক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার( ভূমি) ও পৌর নায়েবের দূর্নীতির তদন্ত শুরু

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 28 ভিউজ

মোস্তফা কামাল:
নড়াইল সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, সহকারী কমিশনার(ভূমি) জনাব সেলিম আহমেদ ও পৌর নায়েব মোস্তাফিজ রহমান মিলনের বিরুদ্ধে দূর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে।

নড়াইলের ঐতিহ্যবাহী পদ্ম পুকুরসহ পশু হাটে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ জিজ্ঞেসাবাদের জন্য সাবেক এই তিন কর্মকর্তাকে ( ৮ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাঃ) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী এর অফিস কক্ষে তদন্তের জন্য ডাকা হয়েছে। জানাগেছে, (২৪ এপ্রিল ২০২৪) তারিখে মোঃ হাসিবুর রহমান এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ এনে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ আমলে নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রা) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীকে তদন্ত দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন তদন্ত কারী এ কর্মকর্তা। অভিযোগ উলেখ করা হয়েছে, ভূয়া আদেশের মাধ্যমে রায় পাওয়ায় পর এই পৌর নায়েব মিলন পৌর ভূমি অফিসে থাকার সুবাদে ইতোপূর্বে টাকার বিনিময়ে জমির নামজারি করে দেন।পরে এ বিষয়ে বিস্তার আলোচনা সমালোচনার মুখে নামজারি খারিজ হয়।পরবর্তীতে তাকে বদলী করা হয়।এই নায়েব পুনরায় জেলা প্রশাসকের সি এ দুলালের মাধ্যমে পৌর ভূমিতে বদলী হয়ে আসেন। বদলী হয়ে তার কপাল খুলে যায়। পরবর্তীতে পৌর নায়েব মিলন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) সেলিম আহমেদ ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার তিন পক্ষিয় জোট একাকার হয়ে যায়।চলে অবাদ ঘুষের বানিজ্য। আশ্রয় প্রকল্পের ঘর মেরামতের কথা বলে লাখ লাখ টাকা তুলে পুরোটাই লাপাত্তা করে দেন। আশ্রয়নে কোন কাজ হয়নি উলেখ করে পুরোটাই ৩ পক্ষয়ী জোটের পেটে দাবি করেন এই অভিযোগ কারী। নড়াইলের বহুল আলোচিত ঝিল পুকুর একটি সরকারি সম্পত্তি। এই সরকারি সম্পত্তি কি ভাবে ব্যাক্তির নামে দখল হয়। কি ভাবে রেজুলেশনে খাজনা আদায়ে সিদ্ধান্ত হয়।আর এই রেজুলেশন ৩ পক্ষীয় জোটকে বড়লোকে রুপান্তরিত করেছে।বিনিময়ে পেয়েছেন এক কোটি টাকা।তবে কি এক কোটি টাকা সব? সরকারি সম্পত্তি কোন নজর নেই। ঘুষখোর ভূমিকর্তা তিন মাস আগে বদলী হলে ও ছাড় পত্র দেওয়া হয়নি।এর রহস্য কোথায়? জালিয়াতি চক্রের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দাবি জানানো হয় এই অভিযোগ পত্রে।

সাবেক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন,এসব অভিযোগ সত্য নয়। সাবেক সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিম আহমেদ বলেন,তদন্ত চলছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক না। সাবেক পৌর নায়েব মোস্তাফিজিজুর রহমান মিলনের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রা) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, আজ তদন্ত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাজনার বিষয়ে চিঠি ইস্যু করতে পারবে কি না এ সঠিক জবাব তিনি দিতে পারবেন। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন