হোম রাজনীতি মণিরামপুরের জনপ্রতিনিধি ও প্রতিমন্ত্রীর এপিএসের নামে খামখেয়ালীপনায় মিথ্যা ও হাস্যকর শ্লীলতাহানির মামলা করায়-নিন্দার ঝড়

মণিরামপুরের জনপ্রতিনিধি ও প্রতিমন্ত্রীর এপিএসের নামে খামখেয়ালীপনায় মিথ্যা ও হাস্যকর শ্লীলতাহানির মামলা করায়-নিন্দার ঝড়

কর্তৃক
০ মন্তব্য 111 ভিউজ

মণিরামপুর প্রতিনিধি:

মিথ্যা মামলা বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা বা ঘায়েল করার বড় একটা হাতিয়ার। ক্ষমতার পালা বদলে যখন যে রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে পারে তখন সেই ক্ষমতাসীনরা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা বিপক্ষ মতাদর্শের লোকদের মিথ্যা মামলা-মকদ্দামাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে হয়রানী করার রেওয়াজ চিরাচরিত ভাবে চলে আসছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে-এ রকম মিথ্যা মামলার ফাঁদে পড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি, আমলা থেকে শুরু করে দিনমজুর পর্যন্ত।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিশংস ভাবে হত্যার পর-অনেক কুটকৌশাল আর চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন খুনি খন্দকার মোস্তাক। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে খন্দকার মোস্তাককে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি থাকার সময়ে সেখানকার সামান্য কাপ-পিরিচ চুরির মামলায় গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে তার বিচার সম্পন্ন করেছিলেন।

ট্রাইব্যুনাল বিচারে খন্দকার মোস্তাককে ৩ বছর জেল এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। অবশ্য হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট করে ১৯৭৯ সালে খন্দকার মোস্তাক মামলা থেকে অব্যহতি পান। বিএনপি শাসনামলে আওয়ামীলীগনেতা ও সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্লেট চুরির মামলা হয়েছিল।

সেই সময়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে চরম নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান জামাল উদ্দীনকে ঘড়ি চুরির মামলায় নানাভাবে হেনস্থ করা হয়েছিল। ক্ষমতার পালাবদল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে আমাদের দেশে এ ধরনের মামলা-মকদ্দামার আরও বহু উদাহরণ রয়েছে।

এ রকমই একটি বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি ঘটতে চলেছে কি দেশের অন্যাতম বৃহত্তম উপজেলা মণিরামপুরে? কারণ সে-রকমই একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধি ও ক্লীন ইমেজ খ্যাত সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান প্রতিমন্ত্রীর এপিএসের নামে ষড়যন্ত্র ও হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা-তারই একটা বাস্তব উদাহরণ হতে যাচ্ছে কি? আলোচিত-সমালোচিত এ মামলা নিয়েই এখন উপজেলা ব্যাপি সরগরম।

গত ২২ জুলাই বুধবার মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভার একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম সেদিন তাকে উদ্দেশ্য করে কূরুচীপূর্ণ অঙ্গভঙ্গিসহ তার পরনের কাপড় টানাটানি করে শ্লীতাহানি, কাগজপত্র, নগদ টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে নেয়ার অভিযোগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ২৮ জুলাই সোমবার যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা করেন।

বাদীর আইনজীবি অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, মামলা দায়েরের পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মনজুরুল ইসলাম ( মামলা নং-সিআর ২৫০/২০২০) মামলাটি আমালে নিয়ে যশোর পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিকেশন) কে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

মামলার আসামীরা হলো (১) ৯নং ঝাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন-সামছুল হক মন্টু, (সাবেক ছাত্রনেতা), (২) ৩নং ভোজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান-মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, (সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক একাধিকবার সাংগঠনিক সম্পাদক, ৩নং ভোজগাতী ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, (৩) উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান-জলি আক্তার, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক।

গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান থেকে রেকর্ড সংখ্যা ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন (৪) ভাইস চেয়ারম্যান-উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এবং (৫) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর এপিএস-কবির খান, যিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এবং পরিছন্ন একজন ক্লীন ইমেজের মানুষ।

তবে আলোচিত এ ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলায় যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে-তাদের মধ্যে একজন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা এবং কিভাবে আমাকে স্বাক্ষী করা হলো সেটাও বুঝতে পারছি না।

মণিরামপুর উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধি ও ক্লীন ইমেজ খ্যাত সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান প্রতিমন্ত্রীর এপিএসের নামে মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, হাস্যকর, খামখেয়ালীপনা এবং হয়রানীমূলক এ মামলা করায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি মহলে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। পৌরশহর থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজারের চায়ের দোকান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ধিক্কার, নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যহত রেখেছেন।

প্রতিবাদকারীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগনেতা ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মজিদ, মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-উপজেলা আওয়ামীলীগের তরুণনেতা অ্যাড. বছির আহম্মেদ খান, খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ, হরিদাসকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন লিটন, মুক্তেশ্বরী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মামুনুর রশিদ জুয়েল, উপজেলা কৃষকলীগনেতা প্রভাষক উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরিফূল ইসলাম রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম আলাউদ্দীন, সদস্য মঞ্জুরুল আক্তার মঞ্জু, জুল ফিক্কার আলী জুলু, আবু কালাম, ইয়াহিয়া রাজু, আয়ুব পাটোয়ারী, জাকির মেম্বর, গাজী আসাদ, পৌর যুবলীগের সভাপতি এস,এম লুৎফর রহামন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, পৌর যুবলীগ নেতা পলাশ ঘোষ, ইউনিয়ন যুবলীগনেতা প্রভাষক আলা উদ্দীন, হাবিবুর রহামন হাবু, বিকাশ ভট্টাচার্য্য, আলমগীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, জয়ন্ত বসু, রফিকুল ইসলাম, দীনবন্ধু, সুব্রত মন্ডল, নিশাত কবির, নাজমুল, মিজানুর, কামাল, আলম, সোহাগ, সোহেল রানা, কামাল, দীপংকর, পান্না খান, মহিদুল, বিল্লাল, পান্নু, পংকজ, রাহা মদন, সাগর, রহমত, উদয় বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান, জাহিদ, মহিতোষ বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফজলুর রহমান, ছাত্রলীগের হাদি উজ্

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন