হোম এক্সক্লুসিভ করোনা চিকিৎসা উপকরণ বিক্রিকে কেন্দ্র করে তালায় দুটি সরকারি দপ্তরে একে অপরকে দোষারোপ

করোনা চিকিৎসা উপকরণ বিক্রিকে কেন্দ্র করে তালায় দুটি সরকারি দপ্তরে একে অপরকে দোষারোপ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 108 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি,তালা (সাতক্ষীরা) :

তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিপিই, মাক্স ও হ্যান্ডগগ্লাভস বিক্রির ঘটনা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে চলেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, বিষয়টি তাদের এখানে না, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের। আর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ বলছে, তারা কোনো বরাদ্দ পাই না। যা হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ যানে। এনিয়ে দু’টি দায়িত্বশীল দপ্তর একে অপরের দোষারোপ করে প্রতিবাদ দিয়েছেন।

এদিকে সংবাদ প্রকাশের পরে ক্লিনিকের মালিক কোয়াক ডাক্তার বিধান রায়ের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। নিজেকে বাঁচাতে ধর্না দিচ্ছে রাজনৈতিক নেতাসহ প্রভাবশালীদের বাসায়। এমনকি ক্লিনিকের মধ্যে বসে দফায় দফায় বৈঠক করছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে লক্ষ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। এমনকি নানা ভাবে হুমকিও দিচ্ছেন সাংবাদিককে।

তবে একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, তালা উপজেলার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বিষয়টি সমাধান করার দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন সবাইকে ম্যানেজ করার। চেষ্টাও করে যাচ্ছেন বহাল তবিয়তে। তদ্বিরও করছেন বিভিন্ন মাধ্যমে।

দৈনিক সংকল্প পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. রাজিব সরদার স্বাক্ষরিত ২৫ জুলাই প্রতিবাদ দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কোভিড/১৯ স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে বিক্রয় সংক্রান্ত নিউজটি তার দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকাশিত সংবাদের তিনি প্রতিবাদ জানান।

অথচ তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারাহ ফেরদৌস সংকল্প’র সাথে সাক্ষাত কালে বলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ থেকে কিছু স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বাইরে গিয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন সুরক্ষা উপকরণ বাইরে যাওয়ার নিয়ম নেই।

তবে তালা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডা. আমিনুল ইসলাম ২৮ জুলাই দেওয়া প্রতিবাদে তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের দপ্তরের বিষয়ে পরামর্শ না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও) ডা. ফারাহ ফেরদৌস আমাদের দপ্তরের বিরুদ্ধে প্রমাণ ছাড়া কিভাবে বক্তব্য দিলেন। তিনি আমাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে পারেন না। আমরা কোনো বরাদ্দ পাইনা। সব বরাদ্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে আমাদের দপ্তরকে নিতে হয়। তিনি (আরএমও) ডা. ফারাহ ফেরদৌস এর বক্তব্যের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান।

অথচ সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক বিধান রায়ের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কথোপকথন “সংকল্প নিউজ” এর হাতে এসেছে। সেখানে ক্লিনিক মালিক বিধান রায় স্বীকার করেছেন, তিনি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছে থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ নিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন