হোম আন্তর্জাতিক রাশিয়ার কাছে নতি স্বীকার করবে না ইউক্রেন

রাশিয়ার কাছে নতি স্বীকার করবে না ইউক্রেন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 9 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইউক্রেন বলেছে, তারা কখনই রাশিয়ার আগ্রাসনের কাছে নতি স্বীকার করবে না এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়ান সামরিক বাহিনীকে শাস্তি দেওয়া হবে। ক্রেমলিন দেশটিতে পূর্ণ মাত্রায় সামরিক অভিযান শুরুর হাজারতম দিনে কিয়েভ এমন প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের দেশ কখনই দখলদারদের কাছে নতি স্বীকার করবে না। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের হাজারতম দিনে ইউরোপীয় সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষণ দেয়ার আগে এমন প্রতিক্রিয়া জানালো দেশটি।

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমিতে রাতারাতি ড্রোন হামলায় একজন শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন, যেখানে রোববার আলাদা হামলায় ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের পুলিশ জানিয়েছে, ছোট শহর হুলুখিভের একটি আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলায় দুই শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক্সে লিখেছেন, ভবনটিতে একটি স্থানীয় স্কুলের ছাত্রাবাস ছিল। রাশিয়া আমাদের সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। তার শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জরুরি বিভাগের কর্মীরা মঙ্গলবার সকালে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।

জেলেনস্কি বলেন, হামলা নিশ্চিত করেছে যে পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, তিনি শান্তির কথা বলতে আগ্রহী নন। তিনি জানান, আমেরিকার দেয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভূমিতে ব্যবহার করার সবুজ সংকেত পাওয়ার পরপরই মস্কো গত কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ হামলা চালানো যাচ্ছে।

দেশটির সামরিক কমান্ডার ইন চিফ টেলিগ্রামে লিখেছেন, যুদ্ধের হাজারতম দিনে তাদের দেশ অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। এজন্য অত্যন্ত জটিল এক যুদ্ধে শত্রুকে ধ্বংসের মুখোমুখি রয়েছে। ডোনেৎস্কের হিমায়িত পরিখা আর খেরসনে বোমার শিলাবৃষ্টি ও বিমান হামলার নিচে অধিকারের জন্য লড়াই করছে।

শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে বাড়ি ফিরলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি!শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে বাড়ি ফিরলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি!
এদিকে, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা শিথিল করে নতুন একটি ডিক্রিতে সই করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার, ইউক্রেন যুদ্ধের এক হাজারতম দিনে এ ঘোষণা সামনে এলো। এর মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে মস্কোর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ আরও বিস্তৃত করা হয়েছে।

ক্রেমলিন বলেছে, একটি অ-পারমাণবিক রাষ্ট্র থেকে যে কোন আগ্রাসন, যদি পারমাণবিক শক্তি দ্বারা সমর্থিত হয়, তবে রাশিয়ার উপর যৌথ আক্রমণ হিসাবে বিবেচিত হবে। রাশিয়া সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকির ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন