জাতীয় ডেস্ক:
সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলায় কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে ডিএমপি সদর দফতরে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা জানান।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বড় পোস্টে রয়েছেন। তাই তাকে তাকে রক্ষা করার কোনো তদবির এসেছে কিনা বা এ ক্ষেত্রে মামলা তদন্ত নিয়ে কী হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি একটি হত্যার বিচার। সেটির জন্য আমাদের তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’
‘এখানে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা এ ধরনের কোনো কিছুই আমাদের ওপর নেই। স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে’, যোগ করেন হাবিবুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারত যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনার।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনারের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এ সংসদ সদস্যের।
২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সাঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি বহুতল আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।
২৮ মে সন্ধ্যায় সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এগুলো আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
তবে এ হত্যা মামলায় গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে চারজনই দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার অপর আসামি মিন্টু আট দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।