জাতীয় ডেস্ক:
গোপালগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় সদ্য নির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
ঘটনার ৩য় দিন বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে নিহত যুবক ওয়াছিকুরের বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় এই হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভুঁইয়াসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নিহত যুবক ওয়াছিকুরের বোন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত আটক করা যায়নি। তবে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রদীঘলিয়ায় সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী একই গ্রামের বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থকদের মধ্যে চা-সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক ওয়াছিকুর নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এর প্রতিবাদে ঘটনার পরের দিন বুধবার (১৫ মে) দুপুরে নিহত যুবকের মরদেহ নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে লিয়াকত আলীর সমর্থক ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
পরদিন বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে ফের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলীয়া বাজারে আগুন জালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। দেড় ঘণ্টা পরে দুপুর ১ টায় পরবর্তী আন্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় তারা। শনিবারের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে রোববার (১৭ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে জানায় আন্দোলনকারীরা।