জাতীয় ডেস্ক:
রাজধানীর বেইলি রোডের আবাসিক ভবনের দুই পাশে সংযোগ সড়কে গড়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্যিক ভবন। আবার সেই সব ভবনে নেই অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে সারি সারি দোকান ও রেস্টুরেন্ট। গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর একে একে বেরিয়ে আসছে এমন অনিয়মের চিত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেইলি রোডের অনেক রেস্টুরেন্টের প্রবেশমুখেই তৈরি করা হয়েছে রান্নাঘর। বাহিরে অরক্ষিত অবস্থায় রাখা গ্যাসের সিলিন্ডার। আশেপাশে নেই আগুন নেভানোর কোনো যন্ত্রপাতিও।
সেখানকার সব ভবনের অবস্থা প্রায় একই। রাস্তার দু’পাশে বহুতল আবাসিক ভবনের সামনে ছেড়ে দেয়া অংশেই নির্মিত হয়েছে এসব ভবন। এছাড়া, সামনের অংশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গড়ে উঠেছে খাবারের দোকানও।
সাধারণ মানুষ বলছেন, বেশিরভাগ ভবনেরই প্রবেশ ও বাহিরের একটি মাত্র সিঁড়ি। তাও পেছনের দিকে। এছাড়া ভবনগুলোয় নেই পর্যপ্ত ভ্যান্টিলেশন ব্যবস্থাও। এমন অব্যবস্থাপনার কারণেই ঝরছে প্রাণ।
তারা বলছেন, বেইলে রোডের বেশিরভাগ ভবনই এখন বাণিজ্যিক হয়ে গেছে। খাবারের দোকান থেকে শুরু করে অনেক দোকানপাট হয়েছে। এসব খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। পাশাপাশি ভবন নির্মাণ নীতিমালাও মানা হচ্ছে না বহু জায়গায়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় আছে এখানকার বেশিরভাগ ভবন। এমনকি অগ্নিদুর্ঘটনা কবলিত ভবনটিকে তিন বার দেয়া হয়েছিল সতর্কবার্তা।
এদিকে, দ্রুত এসব ভবন শনাক্ত করে ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় ভবন নির্মাণ হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রাজউককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রাজউকের তথ্যমতে, রাজধানীতে হাসপাতাল, স্কুল, শপিংমল, রেস্টুরেন্টসহ ৪২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে।