বাণিজ্য ডেস্ক:
অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার হৃদ্রোগ, ক্যানসার, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং অকাল মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকির মতো মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক এমন ৩২টি রোগের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গবেষণা এটি। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ইউনিভার্সিটি অব সিডনি এবং ফ্রান্সের সোরবোন ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।
মেডিকেল জার্নাল বিএমজেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার হিসেবে দানাদার খাবার (সিরিয়াল), প্রোটিন বার, কোমল পানীয়, প্যাকেটজাত খাবার এবং ফাস্টফুডকে চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গড় খাদ্যের তালিকায় অর্ধেকেরও বেশি অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার। এর মধ্যে কমবয়সী, দরিদ্র বা সুবিধাবঞ্চিতদের খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশই থাকে অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার।
গবেষকরা জানান, প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। ফলে মানুষের খাদ্য তালিকা থেকে অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়াও অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ অকাল মৃত্যু, ক্যানসার ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, শ্বাসযন্ত্র, কার্ডিওভাসকুলার, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্য সমস্যাসহ মানব স্বাস্থ্যের ৩২টি ক্ষতিকারক প্রভাবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে বিএমজের প্রকাশিত প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে।
প্যাকেটজাত খাবার ও স্ন্যাকস, কোমল পানীয়, চিনিযুক্ত সিরিয়াল এবং রেডি-টু-ইট বা প্রস্তুতকৃত খাবারসহ অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে এগুলোতে প্রায়ই রঙ, ইমালসিফায়ার, স্বাদ এবং অন্যান্য উপাদান যোগ করা হয়। এসব পণ্যে অতিরিক্ত চিনি, চর্বি ও লবণের পরিমাণ বেশি থাকলেও ভিটামিন এবং ফাইবার খুবই কম থাকে।